মেডাম যখন আদুরে বউ ( সকল পর্ব একসাথে )
(ম্যাডাম যখন আদুরে বউ… ১ম র্পব…)
------------------------------------------------------------------------------------------
আপনাদের জন্য গল্প লেখতেছিলাম তখন আমার ফোন টা ভূমিকম্প শুরু করে দিলো মানে কেউ যেনো ফোন করেছে । ফোন টা নিয়ে দেখি নতুন নাম্বার মানে আমি চিনিনা , অনেকখন পরে ফোন টা রিসিভ করলাম আর একটী মেয়েলি কন্ঠ শুনোট পেলেম অনেক সুন্দর তবে বয়স মনে হয় বেশি হবে । ত উনিই প্রথমে কথা বলতে লাগলেন
ম্যাডামঃ কেমন আছেন আর কি করছেন ?
আমিঃ জি ভালো আছি । আপনি কেমন আছেন ? আর আমি এখন গল্প লেখছি।
ম্যাডামঃ ভালো । গল্প মানে বুঝলাম না ?
আমিঃ মানে আমার ১টি ফেসবুক পেজ আছে সেখানে আমি গল্প লেখি /
ম্যাডামঃ ওহ আমার ত ফেসবুক নেই তাই জানিনা। আচ্ছা আপনার নাম কি জানতে পারি?
আমিঃ আমার নাম জুনায়েদ। আপনার নাম?
ম্যাডামঃ আমার নাম ফারজানা ।
আমিঃঅনেক সুন্দর নাম ।
ম্যাডামঃধন্যবাদ । আপনি কি করেন জানতে পারি ?
আমিঃ হুম … আমি এখন গল্প লেখি আর এক অপরিচিতার সাথে কথা বলছি । আর আপনি ?
ম্যাডামঃ ধুর আপনি কি পড়াশুনা করেন কিনা চাকরি করেন সেটা বলতে চাচ্ছি ? আমি মার্সাটার ফাইনাল পরিক্ষা দিয়েছি ।
………। এই রে উনি ত অনেক বড় আমার চেয়ে । কথা ত অনেক সুন্দর ১টু মজা করা যায় ।
আমিঃ এবার ১টি স্কুলে জয়েন করেছি আমাদের গ্রামে শিক্ষক হিসাবে (ডাহা মিথ্যা কথা) ।
ম্যাডাঃ অনেক ভালো ত আমিও জয়েন করব কুষ্টিয়ার ১টি কলেজে ।
আমিঃ আপনার বাসা টা এখনো জানা হয়নি কিন্তু আমার বাসা দোলতপুর ।
ম্যাডামঃ আমার বাসা কুষ্টিয়া মজন পুর । আচ্ছা আপনি থেকে কি আমরা তুমি তে আসতে পারিনা ?
আমিঃ হুম পারি ত । আপনারা কয় ভাই বোন আমি কি জানতে পারি ?
ম্যাডামঃ আমি মা-বাবার এক মাত্র মেয়ে । আপনারা?
আমিঃ আমরা ২ ভাই এক বোন । বোন বড় আর ভাই আমার ছোট।
ম্যাডামঃ আপনার কথা না অনেক সুন্দর ।
আমিঃ মটেও না কারন আমি জানি আমার কন্ঠ কেমন বুঝলেন ।
ম্যাডামঃ ধুর আপনার কথা বলার ধরনের কথা বলেছি অনেক সুন্দর ।
আমিঃ ওহ তাই বলেন তবে আমি জানিনা । আপনার কথাও অনেক সুন্দর।
ম্যাডামঃ তুমি বলতে বলেছি কিন্তু
আমিঃ সরি তুমিও ত আপনি করে বলছো।
ম্যাডামঃ আর বলবনা বুঝলা ।
আমিঃহুম বুঝলাম । আচ্ছা এখন রাখি পরে কথা হবে বাই ।
ম্যাডামঃওকে বাই ।
……। এই ভাবেই প্রতিদিন মেয়েটা ফোন করে কথা বলে আর আমিও কেমন জানি তার প্রতি র্দবল হয়ে গেছি ।একদিন কথা না বললে আমার কিছুই ভালো লাগেনা । বয়সে বড় হলে কেমন যেনো বড্ড ভালোবেসে ফেলেছি । মেয়েটা আমার অনেক খেয়াল রাখে আমি কি করছি খাইছি কিনা সরির কেমন বাবা মা পরিবারে সবাই কেমন আছে সব খেয়াল রাখে । প্রায় ৫ -৬ মাস চলে আমাদের কথা । হঠাৎ করে একদিন ফোন করে বলে তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে , আমি বললাম হে বলো কি বলবে ?
ম্যাডামঃ জুনায়েদ তুমি কি কাউকে লাভ করো?
আমিঃ হে করি ত। তবে কেনো?
ম্যাডাম এমনি জানতে চাইলাম আর কি । আর মেয়েটা কে জানতে পারি?
আমিঃ আছে একজন যাকে আমি দেখিনাই কেমন সে কেমন তার ব্যবহারব।
ম্যাডামঃ ধুর কি বলে । শুনো তোমাকে আমি একটি কথা বলতে চাই তুমি কেমন ভাবে নিবে জানি তাও কথা টা বলতে হবে আমাকে ।
আমিঃ ফারজানা আমার ভয় হচ্ছে তোমার কিছু হয়নি ত ।
ম্যাডামঃহুম হয়েছে আর সেটা হলো আমি তোমাকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি জুনায়েদ। এখন তুমি কিভাবে নিবে আমি জানিনা।
আমিঃ আমাকে কখনো দেখেছো তুমি দেখনি না দেখে কিভাবে ভালোবাসলে?
ম্যাডামঃ আমি অত কিছু জানিনা আমি জানি তোমাকে আমার যেকোন বিনিময়ে বুঝলে ।
আমিঃ তাই নাকি আমার জন্য কি করতে পারবে শুনি?
ম্যাডামঃ কি করতে হবে বলো ?
আমিঃ তোমার সরিরে কি আমার নাম লেখতে পারবে ব্লেড দিয়ে কেটে ?জানি পারবেনা ।
ম্যাডামঃ আমি পারব তুমি দেখেনিও ।
আমিঃ এই যে শুনো আমিও তোমাকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি আর কোথাও কেটে নাম লেখা লাগবেনা …I love u .
ম্যাডামঃ I love u 2 jan uuuuuuuuuuummmmmmmmmmhhhhhhhhhhhh .
আমিঃ এই থাক আর দেওয়া লাগবেনা বিয়ের পরে দিও।
ম্যাডামঃ ওকে জান । এখন রাখি ঘুমাব অনেক রাত হয়েগেছে প্রায় রাত ৩ টা বেজে গেছে ।
আমিঃ ওকে জান । বাই সুভ রাত্রি ।
ম্যাডামঃ বাই সুভ রাত্রি ।
… এভাবে আরো একমাস চলে গেলো আমাদের রিলেশনের ।। হঠাৎ একদিন ফারজানা ফোন করে বলছে দেখা করতে হবে আমি ত পড়লাম মহা ঝামেলাই । কি করে ফারজানার সামনে যাবো ।ধুর কি ঝামেলাই পড়লাম অনেক ব্যাস্ত তা দেখায়ে পার পেলাম না অবশেষে কথা দিলাম ১৮ তারিখে যাবো । ফারজানা সব বলে দিলো কথায় যাওয়া লাগবে । আমাকে পাঞ্জাবি পরে যেতে বলেছে আর ও নাকি বোরকা পরে আসবে লাল কালারের । আজ ১৮ তারিখ সকালে উঠে খেয়ে দেয়ে বাস ধরলাম কুষ্টিয়া যেতে হবে এর মধ্যে ফারজানা অনেক বার ফোন দিয়েছে ও আগে এসে বসে আছে । বাস থেকে নেমে রিক্সা নিলাম রেনিউক বাদের উদ্দেশ্য ওখানেই আছে । অলরেডি পোছায় গেছি কিন্তু লাল বোরকা ত কোথাও দেখছি আর যেখানে বসে থাকার কথা ছিলো সেখানে ত নিল শাড়ি পরা কে বসে আছে । ধুর ভালো লাগে না ত চলে গেলাম গাছ তলায় গিয়ে দেখি নিল শাড়ি পড়া আমার কলেজের ম্যাথ ক্লাস নেই লাকি ম্যাডাম বসে আছে । উনি আমাকে দেখা মাত্রই আমাকে বলে জুনায়েদ কি খবর কেমন আছো । জি ম্যাডাম ভালো আছি আর আজকে কলেজ নাই এখানে বসে আছেন ?
ম্যাডামঃ না আজকে ছুটি নিয়ে এসেছি একজন আসবে ত তাই আর তুমি এখানে কেনো তোমারত ক্লাস অফ আছে ?
আমিঃ ম্যাডাম ১জন আসবে ত এখনো আসেনি ।
ম্যাডামঃ ত কি হয়েছে ফোন করে যেনে নাও কতখন লাগবে ।
আমিঃ ওকে ম্যাডাম … বলে ফারজানার নাম্বারে ফোন দিয়েছি ।
… দেখছি ম্যাডামের ফোনেও কে যেনো ফোন্ দিয়েছে। আমি হ্যালো বলার সাথে ম্যাডাম ও হ্যালো বলে আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে । আমিও অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি ম্যাডামের দিকে। প্রথমে ম্যাডামই কথা বললো।
ম্যাডামঃ জুনায়েদ তুমিইইইই আমার সাথে এত দিন এমন করেছো আমি ভাবতেই পারছিনা ।
আমিঃ ম্যাডাম আমি ত কিছুই বুঝতে পারছিনা ।
(ম্যাডাম যখন আদুরে বউ… ২য় পর্ব)
ম্যাডাম আমার দিকে রাগি লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে , কি হচ্ছে আমি কিছু ভেবে পাচ্ছিনা । আমার অবস্থা একদম খারাপ হয়েগেছে মাথা থেকে ঘাম বেয়ে পায়ে পড়ছে এবার বুঝতে হবে আমার কেমন অবস্থা । না আমাকে যেভাবে হোক মেনেচ করতে হবে , আমি যখন কথা বলতে যাবো তখন ম্যাডাম কথা শুরু করলো ।
ম্যাডামঃ জুনায়েদ তুমি আমার সাথে এমন কিভাবে করতে পারলা?
আমিঃ ম্যাডাম আমি কিছু বুঝতে পারছিনা ।
ম্যাডামঃ হে এখন ত কিছুই বুঝতে পারবেনা ।
আমিঃ সত্যি কিছু বুঝতে পারছিনা কি থেকে কি হয়ে গেলো ।
ম্যাডামঃ এই টা ধরো ( কাগজে মড়ানো ডায়ড়ি)
আমিঃ কি এটা ম্যাডাম?
ম্যাডামঃ এখানে খুলবেনা বাসায় গিয়ে খুলবে ।
আমিঃ ওকে ম্যাডাম।
ম্যাডামঃতুমি ফোনে আমার সাথে মিথ্যা কথা বলেছিলে কেনো যে তুমি স্কুলের শিক্ষক ?
আমিঃ আসলে আমি বুঝতে পারিনাই আপনি ,তাই একটু মজা করার জন্য সব বলেছিলাম আর আপনি ও ত মিথ্যা কথা বলেছেন।
ম্যাডামঃকি মিথ্যা কথা বলেছি বলো ?
……এই কথা বলে ম্যাডাম আমার গালে ২টা থাপ্পড় মেরে কান্না করতে করতে চলে গেলো আর অপলক ভাবে আমি ম্যাডামের যাওয়ার পথ চেয়ে আছি। আমিও বাসায় চলে আসি । রাত্রে আমি বসে বসে ম্যাডামের কথা ভাবতেছি আর কান্না করতেছি কারন আমিও যে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি।
ম্যাডামের নাম্বারে ফোন দিলাম কিন্তু নাম্বার সুইচ অফ বলছে । একভাবে ৭দিন ফোন দিচ্ছি কিন্তু নাম্বার সুইচ অফ আর এই ৭ দিন আমি খুব কান্না করেছি ।আমি রাগ করে অনেক ৫ দিন ফোন অফ করে রাখলাম । আজকে কলেজ চলবে তাই ক্লাস কয়টার সময় জানার জন্য ফ্রেন্ডের কাছে ফোন করতে হবে তাই ওপেন করলাম কিন্তু আমি ত ওপেন করে পুরাই টাস্কি খাইলাম । কারন ম্যাডাম আমার ফোনে ১হাজারের বেশি ফোন দিয়েছে (মিস-কল এর্লাট চালু আছে ) আর ২শ রো বেশি এস এম এস শুধু লেখা – জুনায়েদ ফোন ওপেন করো আমার খুব কস্ট হছে প্লিজ ফোন ওপেন করো । আমি কি এখন কোথাই আছি সেটা জানার জন্য আম্মু কে বললাম আম্মু আমি কোথাই আছি । আম্মু ত আমার কথা শুনে কান্না শুরু করে দিলো আর বলছে আমার আব্বুকে ডেকে দেখো জুনায়েদের আব্বু আমার ছেলে কি হয়ে গেলো । আমার ছেলাটা কি পাগল হয়ে গেলো , কে কি খাওয়াইছে বাপ আম্মু আমাকে বলছে । আমি অবাক আম্মুর কথা শুনে কান্না করছে আর বলছে আমার কলিজাকে কে কি খাওয়াইছে । আমি তখন আম্মু কে বললাম আম্মুউউউউউউ আমার কিছু হয়নি তুমি এমন ভাবে কাদছো কেনো। আমার কথা শুনে আম্মু আমাকে বলছে বলনা কোন মেয়ে তকে কিছু খাইতে দিচ্ছে ? আম্মু আমারে কেউ কিছু দেইনি আর আমি কিছু খাইনি আর তোমার ছেলে দিব্বি ভালো আছে এই দেখো । আম্মু কিছু টা শান্ত হয়ে বললো তাহলে তখন তুই ওই কথা বললি কেন? ধুর আমি এমনি বলেছিলাম বলে কুষ্টিয়া চলে আসলাম । ত কলেজে ঢুকতে খুব ভয় করছে তাও গেলাম । ক্লাসে গিয়ে ত আমি অবাক কারন এই সময় ফিজিক্স ছ্যারের ক্লাস । আমি অনুমতি নিয়ে ক্লাসে ঢুকলাম আর দেখলাম ম্যাডাম রাগি লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে । আর দেখলাম ম্যাডামের চোখ একদম ফুলে লাল হয়ে আছে মনে হয় অনেক কান্না করেছে । আমার কাছে এসে বললো পানির সংকেত কি বলো তখন আমি বললাম ম্যাডাম চোখের জল আর এই কথা বলাও সারা ক্লাসে সবাই হাসাও সারা মনে হচ্ছে আমি ম্যাজিক দেখাচ্ছি । ম্যাডাম বলছে কি খাইছিস গাজা খাইছিস নাকি উলটা পালটা উত্তর দিচ্ছিস । আমি বললাম না মানে মুখ ফসকে বের হয়ে গেছে । ক্লাস শেষে ম্যাডাম বলল তুমি পরে যাও কথা আছে । সবাই চলে গেলো আমি আর ম্যাডাম বসে আছি ।
-
ম্যাডামঃ জুনায়েদ সরি সেই দিনের ব্যবহারের জন্য ।
আমিঃ বুঝলাম না ম্যাম ?
ম্যাডামঃসেই দিন তোমাকে চড় মেরেছিলাম অনেক লেগেছিলো তাইনা ( আমার গালে হাত দিয়ে)
আমিঃ না ম্যাডাম কিছু মনে করিনাই ত ।
ম্যাডামঃ ওহ আচ্ছা তাহলে তুমি এখন বাসায় যাও ভালো ভাবে যাবে আর পোছায় গেলে আমায় ফোন দিবে কেমন ।
আমিঃ জি আচ্ছা ম্যাডাম ।
……আমি বাসায় চলে আসি । আর এখন ভাবতেছি ম্যাডাম আমার সাথে ত অনেক ভালোভাবে কথা বললো তাহলে কি ম্যাডাম আমাই ভালোবেসে ফেলেছে জানার পরেও । বাসার কাজের জন্য কলেজে যেতে পারলাম না কিন্তু আম্মুর ফোনে কল করে কে যেনো বলছে আমি কেনো কলেজে যায়নি আম্মু বলছে বাসায় ১টু কাজ আছে তাই , তারপর আম্মু বললো কাল থেকে যাবে জুনায়েদ । আমি আম্মুর কাছে থেকে ফোন নিয়ে দেখি লাকি ম্যাডাম ফোন করেছে মানে ফারজানা । রাত্রে আমি ম্যাডামের দেওয়া কাগজে মোড়ানো কি আছে তাই দেখার জন্য কাগজ ছিড়ে দেখলাম একটি খুব সুন্দর নিল কালার ডাইড়ি আর তার উপর লেখা আছে ফারজানা আক্তার লাকি + জুনায়েদ নামটা রক্ত দিয়ে লেখা । তখনি ম্যাডামের ফোন আমি রিসিভ করার সাথে সাথে I LOVE U আমার পিচ্চি বর ম্যাডাম বলে । আমি ত শুনেই স্টপ মেরে আছি । ম্যাডাম বলছে এই জুনায়েদ কথা বলছো না কেনো ।
আমি; না মানে শুনছি বলেন ।
ম্যাডামঃ আমার কথার রিপ্লাই পাইনি ।
আমি; কোন কথা ?
ম্যাডামঃ রাগ হয়ে যাচ্ছে ত ।
আমিঃ I LOVE U ম্যাডাম ।
ম্যাডামঃ ঐ ম্যাডাম ম্যাডাম কি হুম আজ থেকে ফারজানা বলে ডাকবা বলে দিলাম যদি অন্য কিছু বলো তাহলে খবর আছে ।
আমিঃ ওকে ম্যাডাম ঐ থুক্কু সরি ফারজানা ।
……আর এভাবেই আমাদের কথা হতে থাকে আর ক্লাসে যদি আমার পড়া না হয় তাহলে আমাকে কান ধরে দাঁড়ায় রাখে শুধু আমাকে আর কাওকে না ।
ম্যাডামঃ জুনায়েদ কালকে দেখা করতে পারবা ?
আমিঃ কোথায় দেখা করতে হবে ?
ম্যাডামঃ প্রথম দিন যেখানে দেখা করেছিলাম সেখানে ।
আমিঃ ওকে ম্যাডাম সরি ফারজানা জান আমার ।
………সকালে উঠে বাস ধরলাম ১ঘন্টা পর পোছায় গেলাম । কুষ্টিয়ার সেই পরিচিত জায়গা গড়াই নদির পাশে রেনিউক বাধ যেখানে অনেক জোড়া জুড়ি বসে আছে আর সে গাছ তলাই নিল শাড়ি পরে বসে আছে ফারজানা ।আমি গিয়ে পেছন থেকে ফারজানাকে জড়ায়ে ধরি আর ফারজানা কে কে বলে সরে যায় আর দেখে আমি । তখন দেখি কোমরে হাত দিয়ে সেই চিরোচেনা রাগি লুক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ……।।
(ম্যাডাম যখন আদুরে বউ…৩য় পর্ব)
ম্যাডাম আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে আছে যেনো আমাকে খেয়ে ফেলবে ……
ম্যাডামঃ ঐ তুমি এমন করলা কেন জানোনা আমি তোমার ম্যাডাম ।
আমিঃ ও তাই সরি আর হবেনা ম্যাডাম বাই ভালো থাকবেন ।
…আমি চলে যাচ্ছি তখন ম্যাডাম দোড়ে এসে আমার হাত ধরলো আর বললো …
ম্যাডামঃ ঐ তুমি কয় যাও আমায় ছেড়ে ?
আমিঃ কেনো আপনি ত আমার ম্যাডাম তাই এখানে থাকা আমার ভালো হবেনা তাই চলে যাচ্ছি ।
ম্যাডামঃ আমি ১টু মজা করলাম আর তুমি রাগ করলা ।
আমিঃ আপনি ত ঠিকি বলেছেন তাইনা ।
ম্যাডামঃ হ্যা আমি ঠিকি বলেছি আর আমি সারা জীবন জুনায়েদর ম্যাডাম হয়ে থাকতে চাই বুঝলা ।
আমিঃ কিছু বুঝতে চাইনা আমি গেলাম ।
ম্যাডামঃ আমার জানপাখির ত খুব রাগ ।
আমিঃ হুম আমার খুব রাগ বুঝলে ।
ম্যাডামঃ কি করলে রাগ কমবে বাবু ?
আমিঃ আমি বাবু না বুঝলা ।
ম্যাডামঃ হুম বুঝলাম কি করলে রাগ কমবে তাই বলো।
আমিঃ আমি কি জানি কিভাবে রাগ কমবে ।
ম্যাডামঃ বলতে বলেছি তোমায় ।
আমিঃ আমাকে জড়িয়ে ধরে কিচ করতে হবে ।
ম্যাডামঃ আমি পারবা না ।
আমিঃ ও তাই ।
ম্যাডামঃ হুম তাই ।
আমিঃ কেনো পারবেন না ?
ম্যাডামঃ জানিনা ।
আমিঃ তাই ।
ম্যাডামঃ হুম।
আমিঃ তাহলে আমি গেলাম ।
ম্যাডামঃ কেনো ?
আমিঃ জানিনাআআআআআআআআআআআআ ।
ম্যাডামঃ আস্তে সবাই শুনতে পাবে ত ।
আমিঃ সবাই শুনলে আমার কি হুম ।
ম্যাডামঃ সবাই আমাদের খারাপ ভাববে ত ।
আমিঃ কে কি বলছে তা আমার দেখার বিষয় নয় আমি ভালো হলেই হবে ।
ম্যাডামঃ বুঝলাম ।
আমিঃ থাকেন আমি গেলাম ।
ম্যাডামঃ এই তখন থেকে তোমার বদরামি শুনে যাচ্ছি দাড়াও তোমার খবর আছে ( আমার কলার ধরে ) ।
আমিঃঊহ লাগছে ত ছাড়েন ।
ম্যডামঃ ছাড়বনা সারা জীবন এভাবে ধরে রাখব ।
আমিঃ ওকে আমিও সারা জীবন এভাবেই তোমাকে দেখতে চাই । ছাড়েন সবাই দেখছে ( বলা মাত্র ছেড়ে দিলো)
ম্যাডামঃ আমি সত্যি তোমাকে এত ভালোবেসে ফেলবো আমি নিজেও ভাবিনাই ।
আমিঃ আমি ত স্বপ্নেই দেখিনাই ;
ম্যাডামঃ কি করলে তোমার রাগ কমবে তাই বলো ।
আমিঃ ঐ ত বললাম আমায় জড়িয়ে ধরে কিচ করতে হবে ।
ম্যাডামঃ আচ্ছা কাছে এসো । উম্মম্মম্মম্মম্মমহহহহহহহ ।
…ম্যাডাম আমায় যখন জড়িয়ে ধরলো তখন মনে হলো মনে হয় সারা জিবনের বাধনে বেধে গেলাম ……
ম্যাডামঃ কমেছে রাগ এবার ।
আমিঃ হুম অনেক কমেছে ।
ম্যডামঃ তাহলে আমায় কিচ করো ।
আমিঃ কিইইইইইইইইই?
ম্যাডামঃ জিইইইইইইইইইই।
আমিঃ ওকে । উউউউউউউউউম্মম্মম্মম্মম্মম্মহহহহহহহহহহহহহহ ( কপালে করেছি পাঠক )
ম্যাডামঃ এটাই আমি চাইছিলাম ।
আমিঃ কি চাইছিলেন ?
ম্যাডামঃ এই যে তুমি কিচ করলে কপালে । আমি দেখতে চাইছিলাম তুমি কোথায় করো ।
আমিঃ তাহলে কি আমাকে পরীক্ষা করা হলো ।
ম্যাডামঃ হুম পরীক্ষা করা হলো আরো অনেক পরীক্ষা বাকি আছে ।
আমিঃ ফারজানা যদি পাশে তাহকে তাহলে সব পরীক্ষাই পাশ করব আর এই পরীক্ষায় কি পাশ করেছি ।
ম্যাডামঃ হুম ১০০ তে ১০০ পেয়ে পাশ করেছো
আমিঃ হুম।
ম্যাডামঃ আচ্ছা জুনায়েদ তোমার বউ হলে আমায় কি করতে হবে ?
আমিঃ আমি বলছি তাহলে শুনো ।
ম্যাডামঃ হুম বলো ।
আমিঃ -------বউ হলে আমাকে ভিষণ ভালবাসতে হবে।
- আমাকে প্রতিদিন খাইয়ে দিতে হবে।
- আচল দিয়ে আমার মুখের ঘাম মুছে দিতে হবে।
- চুল গুলো খোলা রাখতে হবে।
- হাত ধরতে দিতে হবে।
- আমি প্রচুর দুষ্টুমি করি, আমার সাথে তোমাকেও দুষ্টুমি করতে হবে।
- এক কাপ চা ভাগ করে খেতে হবে।
- আমিও ভিষণ ভালবাসবো।
- আমিও খাইয়ে দিবো।
- শাড়ি পরিয়ে দেবো।
- আমার ডান বাহুতে শুতে দিবো।
- প্রতিদিন জরিয়ে ধরে ঘুমাবো।
- রাতের বেলায় রাস্তায় হাটা আমার ভিষণ ভালো লাগে। আমার সাথে হাটতে হবে।
- পায়ে ব্যথা হলে কোলে নিতে পারবো।
- নাকে ধরে জোরে টান দিবো।
- এক আইসক্রিম দুজনে খাব।
- অসুস্থ থাকলে রান্না করে খাইয়ে দিবো।
- যথেষ্ট পরিমাণ লম্বা আছি। বুকের মধ্যে মাথা রাখা কোন ব্যাপার ই না।
- সিরিয়াল দেখা একদম'ই চলবে না।
- এক সাথে বসে রোমান্টিক সিনেমা দেখতে পারি।
- বাচ্চাকাচ্চা হলে তাদেরকে চড় থাপ্পড় দেয়া যাবে না। আদর করতে হবে।
- আর একটু একটু ঝগড়া করব ! তবে বাপের বাড়ি যেতে পারবে না। আভিমান আমিই ভাঙ্গাবো শেষমেষ ।
- একদম পাঁচ ওয়াক্ত নামায ঠিকঠাক পড়তে হবে কিন্তু সাথে আমাকেও পড়াতে হবে �� কারণ এই ইহকালে নয় পরকালেও একসাথে থাকতে চাই ����
ম্যাডামঃ এই গুলো সব মেয়ে পেলে সারা জীবন সুখি থাকবে আর আমি তোমাকে সারা জীবন ভালোবাসতে চাই ।
আমিঃ ফারজানা তুমি ঐ দিকে একটু তাকাও ।
ম্যাডামঃ কোন দিকে ?
আমিঃ ঐযে গেটের দিকে আর এ দিকে আসতেছে ।
ম্যাডামঃ তাড়াতাড়ি উঠো এখানে আর থাকা যাবেনা ( ভয়ে ভয়ে বললো)
আমিঃ প্রিনসিবাল ছ্যার আর আসার সময় পেলোনা ধুর ।
ম্যাডামঃ হুম চলো তাড়াতারি ।
(ম্যাডাম যখন আদুরে বউ…৪র্থ পর্ব)
-আমিঃ এমন সময় যদি এমন কাজ হয় কেমনডা লাগে কও ।
ম্যাডামঃ ধুর এই সব কথা বাদ দাও ।
আমিঃ প্রেমের সময় এমন হলে ত রাগ হবেই ।
ম্যাডামঃ আমারো হচ্ছে ত রাগ ।
আমিঃ রাগ হবেনা কেন আমি কি সবার সাথে প্রেম করতেছি নাকি ।
ম্যাডামঃ শুনি কার সাথে প্রেম করতেছো ?
আমিঃ কেন জানোনা তুমি ?
ম্যাডামঃ জিনা ছ্যার মনে নাই কে সে ।
আমিঃ তাহলে বলব না হুম ।
ম্যাডামঃ কি বলবানা ?
আমিঃ না না বলব না ।
ম্যাডামঃ ওকে আমিও বলব না হুম।
আমিঃ কি বলবানা?
ম্যাডামঃ তাও বলব না ।
আমিঃ প্লিজ ফারজানা জান আমার বলোনা ।
ম্যাডামঃ তুমি আমায় বলেছো যে আমি বলব ।
আমিঃ বুঝলাম না ।
ম্যাডামঃ আরে বুদ্ধু কিছুই বুঝেনা ( আমার নাক ধরে )
আমিঃ হুম কিছুই বুঝিনা ।
ম্যাডামঃ তুমি যে শুধু আমার সাথে প্রেম করো সেটা এইবার বুঝেছো ।
আমিঃ হ্যা ম্যাডাম খুব বুঝেছি ।
ম্যাডামঃ কি বুঝেছো শুনি?
আমিঃ যা বুঝায়েছো তাই বুঝেছি ।
ম্যাডামঃ ও তাই নাকি ।
আমিঃ হুম তাই ।
ম্যাডামঃহুম২২২২২ ।
……আমার ডায়লোগ আমাকেই দিচ্ছে আরে প্রাঠক বুঝেন নাই । কেউ যদি হুম বলে আমি হুম২২২ বলি । অনেক সকালে বের হয়েছি সে আল্লার র্দ্গা থেকে যেখানে আমার বাসা আর রাস্তার যে অবস্থা সকালে যা খেয়ে এসেছি এই রাস্তার জন্য সব শেষ হয়েগেছে মানে বাস খুব ঝেকে যখন রাস্তায় গাড়ি চলে । আর সেই জন্য আমার এখন সেই সিরাম খিদে লাইগা গেছে । মনে মনে ভাবছি ফারজানা কে বলব নাকি । না থাক বলব না একবারে বাসায় গিয়ে খাবো । ওকি ফারজানা আমার মনের কথা কিভাবে বুঝলো ।
ম্যাডামঃ জুনায়েদ কিছু ভাবছো তুমি ।
আমিঃ না কিছু না ত।
ম্যাডামঃ তোমার যে খিদে লেগেছে তা আমি জানি ।
আমিঃ না খিদে লাগেনি ত
ম্যাডামঃ মিথ্যা বলছো কেনো তোমার ত খিদে লাগলে , তুমি তোমার এক হাত দিয়ে আরেক হাতের নখ টানো ।
আমিঃ এই রে ধরা খিয়ে গেলাম ( আস্তে আস্তে )
ম্যাডামঃ কিছু বললা ।
আমিঃ না কিছু বলিনাই ।
ম্যাডামঃ আচ্ছা চলো শিশির ব্যাকারিতে যায় ফুচকা খাবো ।
…আমি ত মহা খুশি কারন আমারও প্রিয় ফুচকা … মনে মনে ম্যাডাম কে একখানা চুম্মা দিলাম ……
আমিঃ হুম চলো ।
ম্যাডামঃ ভালোই হলো কেউ নেই একদম ফাকা ।
আমিঃ আমার হলো বিপদ ।
ম্যাডামঃ ঐ ঐ বিপদ মানে ?
আমিঃ মানে তুমি ত বেশি খাইতে পারোনা তাই সব গুলো ত আমাকেই খেতে হবে তাই ।
ম্যাডামঃ ওহ তাই ।
আমিঃ হুম তাই ।
ম্যাডামঃ মামা ২ টা ফুচকা দিবেন ( ১টাই ১০ টা করে থাকে আর আমাদের কুষ্টিয়াই ১টার দাম ৫০ টাকা )
আমিঃ মামা ঝাল বেশি হবে ।
ম্যাডামঃ ঐ তুমি ত ঝাল খেতে পারোনা তাহলে ঝাল বেশি কেন হুম ?
আমিঃ আমার সামনে যে মিষ্টি বসে আছে যেকোনো ঝাল ফেল মেরে যাবে ।
ম্যাডামঃ ধুর কি সব বলো । ( লজ্জা পেয়ে ) আচ্ছা চলো ঐ খানে যায় তাহলে আমাদের আর প্রিন্সিবাল ছ্যার দেখতে পারবেনা ।
আমিঃ ওকে চলেন ( এখন যেখানে আসলাম সেখানে র্পদা দিয়ে ঘেরা )
ম্যাডামঃ এই যে তোমার ঝাল ফুচকা আর আমার টক ফুচকা ।
আমিঃ হুম । ম্যাডাম আপনার পা টা একটু এই দিকে এগিয়ে দিবেন ।
ম্যাডামঃ ঐ তোমার ম্যাডাম কে শুনি ?
আমিঃ কেন তুমি ।
ম্যাডামঃ আপনি করে বলছো আবার ম্যাডাম তাহলে আমি গেলাম ।(উঠে চলে যাচ্ছে খুব রেগে গেছে মনে হয় । এখন ম্যাডাম বললে এই ভাবে রাগ দেখায় )
আমিঃ কয় জাবা জান আমার ?
ম্যাডামঃ বাসায় যাবো ।
আমিঃ আর যেতে হবেনা এই যে আমি কান ধরে বলছি আর হবেনা ।
ম্যাডামঃ মনে থাকে যেনো ।
আমিঃ হুম খুব মনে থাকবে ।
ম্যাডামঃ আর আমার পা কেনো আগায় দিবো ?
আমিঃ এমনি একবার দেখব কি সুন্দর পা খানি তোমার ।
ম্যাডামঃ ওহ আচ্ছা । তোমার হাত টা একটু আগায় দাও ত ।
আমিঃ কেন ?
ম্যাডামঃ দাও বলছি (রেগে গেছেরে )
আমিঃ ওকে এযে দিলাম আমার হাত তোমার হাতে সপে ।
ম্যাডামঃ এইবার চোখ বুঝো ।
আমিঃ কেন আমার হাত কাটবা নাকি ।
ম্যাডামঃ হ কাটব চোখ বন্ধ করো ।
আমিঃ ওকে বন্ধ করলাম আমার চোখ ।
……… এ কি ম্যাডাম কি আমাকে দড়ি দিয়ে বাধছেনা নাকি , না দড়ি ত এমন হবেনা ফিতার মত লাগছে আর অনেক গুলো । আরে আবার কি ভারি জিনিস দিয়ে বানছে । আমাকে যখন খুলতে বললো ।
আমি ত অবাক …।
ম্যাডামঃ এই বার চোখ খুলো ।
আমিঃ চোখ খুলেই ত অবাক আমি । এই গুলো কি ?
ম্যাডামঃ কেন দেখতে পারছোনা ?
আমিঃ দেখতে ত পারছি ,কিন্তু কি জন্য এইগুলো?
ম্যাডামঃ প্রথমতো রিজ ব্র্যান্ড গুলো কিনেছি তোমার জন্য আর তোমাকে দেওয়ার জন্য ।
আমিঃ তুমি ত এইগুলোকে পছন্দ করোনা ।
ম্যাডামঃ হুম করতাম না তাই ত একদিন ক্লাসে তোমার হাত থেকে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলেছিলাম ।
আমিঃ তাহলে আবার কেনো ।
ম্যাডামঃ তোমার হাতে ভালো লাগে তাই বুঝলা ।
আমিঃ হুম বুঝলাম কিন্তু আমার হাত থেকে নিয়ে পুড়িছিলে কেন?
ম্যাডামঃ তখন তুমি আমার ছাত্র ছিলে ।
আমিঃ আর এখন কি শুনি?
ম্যাডামঃ এখন তুমিই আমার সব বুঝলা আর ফুচকা খেতে হবে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে কথা বন্ধ করে খাও ।
আমিঃ আর এই এত ভারি ঘড়ি ।
ম্যাডামঃ ঐ কথা বন্ধ খাওয়া শুরু । ঐটা আমার জান কে দিয়েছি ।
আমিঃ ও আচ্ছা । আমার একটা কথা আছে ।
ম্যাডামঃ কি কথা ?
আমিঃ তোমার পা টা একটু এইদিকে দাও ।
ম্যাডামঃ কি হবে ?
আমিঃ আমি দিতে বলেছি ত ।
ম্যাডামঃ ওহ আচ্ছা ।
আমিঃ এইবার তুমিও চোখ বন্ধ করো ।
ম্যাডামঃ কেন বন্ধ করব খারাপ মতলব আছে নাকি?
আমিঃ ওকে যাও লাগবেনা । ( কিছুটা রাগের অভিনয় করে বললাম)
ম্যাডামঃ ও আমার জানু দেখছি রাগ করেছো ।এই যে চোখ বন্ধ করলাম ।।।
……… ফারজানা যখন চোখ বন্ধ করলো তখন ওর পা আমার হাতের উপর রাখলাম আর বললাম পাইজামাটা একটু উচু করতে কিন্তু ও উচু করছেনা । আমি অনেক রেগে বললাম তারপর তুললো আর ও যেই একটু পাইজামা উচু করেছে আর আমি পুরায় টাস্কি খাইলাম …।।
আমিঃ ফারজানা এইগুলো কি ?
ম্যাডামঃ কোন গুলো ?
আমিঃ কোন গুলো (বলেই ঠাস ঠাস করে ২টা চড় বসায়ে দিলাম আর ওর গালে ১০ আঙ্গুলের ছাপ বসে গেলো)
ম্যাডামঃ তুমি আমাকে মারতে পারলে ( অনেক জরে লেগেছে তাই কান্না করে বলতেছে)
আমিঃ তুমি পা কেটে আমার নাম লিখেছো কেনো?
ম্যাডামঃ তুমি একদিন বলেছিলেনা যে তুমি কি পারবে হাত বা গা কেটে আমার নাম লেখতে ।
আমিঃ কিন্তু পা কেনো?
ম্যাডামঃ পা ত কেউ দেখতে পারবেনা তাই ।
আমিঃ হুম অনেক হয়েছে ভালোবাসা এইবার পা টা আগায় দাও ।
ম্যাডামঃ হুম দিলাম ( কিছুটা ফুফাতে ফুফাতে )
…………তারপর পায়েল পরিয়ে দিলাম আর ফারজানা শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে ………
আমিঃ এই যে এভাবে তাকিয়ে কেন ?
ম্যাডামঃ না কিছুনা । ফুচকা খাও অনেক সময় ত পেরিয়ে গেলো ।
আমিঃ না খাবনা যদি মিষ্টি না দেও ।
ম্যাডামঃ মিষ্টি আচ্ছা দাড়াও ওয়েটার কে বলছি ।
আমিঃ আমি কি ঐ মিষ্টির কথা বলেছি ।
ম্যাডামঃ জিনা ছ্যার এই মিষ্টি দেওয়া যাবেনা ।
আমিঃ তাহলে আমি খাবো না । আর চলে যাচ্ছি (চেয়ার থেকে উঠে এই কথা বললাম)
ম্যাডামঃ আচ্ছা দিবো তার আগে সব ফুচকা খেতে হবে তোমাকে ।
আমিঃ আমি কেমন করে সব খাবো ?
ম্যাডামঃ আমি কিছু খাচ্ছি বাদ বাকি সব খাবে তারপর ত ঝাল লাগবে ।
আমিঃ ওকে ।
……… ফারজানা মাত্র ৫ পিস খেয়েছে আর আমি সব খেয়ে নিলাম।
ম্যডামঃ কি সব খেয়ে নিলে ?
আমিঃ এখনো একটা জিনিস বাকি আছে?
ম্যাডামঃ কি?
আমিঃ কি আবার মিষ্টি ।
ম্যাডামঃ ধুর আমার লজ্জা করে ।
আমিঃ লজ্জা করলে হবেনা।
ম্যাডামঃ ওকে আমি চোখ বন্ধ করলাম ।
আমিঃ চোখ বন্ধ করলে হবেনা ।
ম্যাডামঃ জি হবে ।
আমিঃ ওকে । উউউউউউউউম্মম্মম্মম্মমহহহহহহহহহহহহ ( কপালে চুম্মু দিলাম ) এই বার চোখ খুলো
ম্যাডামঃ হয়েছে এবার চলো যাওয়া যাক অনেক ত ঘুরলাম ।
আমিঃ হুম ।
…………২জন উঠে বিল দিতে গেলাম দেখি ফারজানা টাকা বের করছে । আমি ওকে বললাম আমি দিয়ে দিচ্ছি । ও শুনছেই না ঐ টাকা টা দেবে তখন আমি একতি বুদ্ধি আটলাম।
আমিঃ ফারজানা দেখো প্রিন্সিবাল ছ্যার ।
ম্যাডামঃ কোন দিকে ?
আমিঃ ওই দিকে ( এই বলে আমি বিল মিটাই দিলাম)
ম্যাডামঃ জুনায়েদ প্রিন্সিবাল ছ্যার এই দিকেই আসতেছে ত।
আমিঃ কি ? ( আমি শুনেই থতমত খেয়ে গেলাম)
ম্যাডামঃ ঐ যে চলে আইছে ( ভয়ে ভয়ে আস্তে আস্তে বলছে)
আমিঃ এখন কি করব ?
ম্যাডামঃ জানিনা
…একটুপর প্রিন্সিবাল ছ্যার আমাদের কাছে চলে এসেছে । সাথে উনার বউ আছে । ……
(ম্যাডাম যখন আদুরে বউ…৫ম পর্ব)
প্রিন্সিবাল ছ্যার আমাদের কাছে এসে প্রথমে আমার সাথে কথা বললো ……
ছ্যারঃ জুনায়েদ কেমন আছো ?
আমিঃ জি ছ্যার ভালো আছি । আপনি কেমন আছেন?
ছ্যারঃ হুম ভালো ত ম্যাডামের সাথে ভালোই ঘুরতেছো ।
আমিঃ মানে না না ছ্যার এইকটু ঘরতেছিলাম আর কি ।
ছ্যারঃ ওহ । ত চলো ওখানে বসা যাক ।
আমিঃ জি ছ্যার ।
…ছ্যারের কথাই সবাই গিয়ে সব আগের জাগায় বসলাম । এই দিকে ত ম্যাডামের চেহারা ত খুব খারাপ অবস্থা । আমারো একি অবস্থা ।
ছ্যারঃ ফারজানা ত তোমার কি খবর ।
ম্যাডামঃ এই ত ছ্যার ভালো ।( ভয়ে ভয়ে বললো)
ছ্যারঃ জুনায়েদের একটা অতীত আছে জানো কি তুমি?
ম্যাডামঃ কি অতীত আর সেটা কি ?
ছ্যারঃ দেখো জুনায়েদের কাছে ডাইড়ি আছে ওখানে সব আছে ।
ম্যাডামঃ আমি ত এর কিছুই জানিনা ছ্যার ।
ছ্যারঃ জুনায়েদ তোমার ম্যাডাম কে ডাইড়ি টা দাও ।
আমিঃ জি ছ্যার ।
……আমি বাধ্য ছেলের মত ব্যাগ থেকে ডাইড়ি টা ম্যাডামের হাতে দিলাম আর ম্যাডাম সেটা নিয়ে পরতে লাগলো আর তখন ছ্যার বললো………
ছ্যারঃ ফারজানা দেখো ১১০ নম্বর পৃষ্টায় সব লেখা আছে ।
ম্যাডামঃ জি ছ্যার ।
……দেখলাম তখন ম্যাডাম ১১০ নম্বর পৃষ্টায় পড়তে লাগলো………
--------
জুনায়েদআমারআপুযখনডাইরিটাতোমারহাতেদিবেতখনআমিহয়তোবাহাঁসপাতালেথাকবোবাএইদুনিয়াতেইনাথাকতেপারি।কিছুদিনআগেআমিহটাৎকরেআমিঅসুস্থহয়েযায়আমাকেরাজশাহিতেনিয়েযাওাহয়েছিলোতারপরআল্লাহ্ররহমতেসুস্থহয়েছিলাম।কিছুপরীক্ষাকরাহয়েচ্ছিলোপরেজানাবেবলেআমাকেনিয়েসবাইচলেআসে ,ওখানেআমারএকপরিচিতআংকেলছিলোউনিযানাবেবলেবলেছিলো।তএকদিনআমিআম্মুরফোননিয়েতোমারসাথেকথাবলছিলামতখনএকটিsms আসেআংকেলেরনাম্বারথেকেযালেখাছিলোআপুনিঝুমেরব্রেনক্যানসারহয়েছেওকেতাড়াতাড়িভারতেনিয়েযেতেহবেআরআপনারফোনবন্ধপেলামতাইsms দিলাম আর ভাইয়ার ফোনতো বন্ধ কেনো ফোন খোলার পর আমকে ফোন দিবেন । আমি এইটা দেখেই কেঁদে ফেলেছিলামতখন তুমি জানতে চাইছিলানা কেনো আমি কেনো কাঁদছি এটাই আসল কারন । আমি এসএমএস সিন না করেই রেখেছিলাম যেনো আম্মু বুঝতে না পারে আমি সব কিছু জানি ।
আজকে তোমার কথা খুব মনে পড়ছে আর তোমার সাথে কাটানো সব সময়গুলো । যে দিন প্রথম আমাদের কথা হয় সেই দিন তুমি ফুটবল খেলে ফিরছিলে আর আমি বাসায় যাচ্ছিলাম। তখন আমার সাথে তোমার ধাক্কা লাগের আর তুমি পড়ে যাও আর আমি তা দেখে অনেক হেসেছিলাম, কিন্ত তারপর দেখি তোমার হাটুতে অনেক খানি কেটে গেছে অনেক রক্ত বের হয়েছিলো ঐ কেটে যাওার দাগ তোমার পায়ে এখনো আছে ।তুমি আমার ওপর রেগে গিয়েছিলে কিন্ত আমার আম্মু সাথে থাকায় কিছু বলেছিলেনা তার আমি বাসায় চলে আসি। তারপর একদিন তোমার বন্ধুর বড় বোনের বিয়েতে আমাদের দেখা তারপর তোমার নাম্বার নিয়েছিলাম । তোমাকে ফোন দিয়ে অনেক ডিস্টাব করতাম অনেক দিন কথা বলার পর তুমি আমে ভালোবেসেছিলে কিন্ত যখন শুনলে আমি ধর্মতে হিন্দু তারপর থেকে আমার সাথে কথা বলতা না তখন আমার খুব কস্ট লাগতো । তোমার বন্ধুকে দিয়ে বুঝিয়েছিলাম যে আমি যদি মুসলিম হয় তাহলে তুমি আমার সাথে কথা বলবে নাকি তুমি হ্যা জবাব দিয়েছিলে ।তারপর থেকে কথা বলতাম আর তুমি আমায় শুধু বলতে আমি কবে মুসলিম হব তখন আমি বলতাম সময় হলে সব হবে।মুসলিম হওাটা আমার জন্য অনেক কঠিন একটি কাজ ছিলো তবুও তোমায় কথা দিয়েছিলাম। তোমার মনে আছে জুনায়েদ আমরা যেদিন প্রথম দেখা করি তুমি সেইদিন রেনিউক বাধে বসেছিলে আর একদম পশ্চিমে বসে ছিলে ।আমি আর আমার বান্ধবি তোমার সাথে দেখা করতে গেছিলাম আমাকে দেখে তুমি হা হয়ে গেয়েছিলে কারন আমি সেয়দিন হিন্দু হয়েও ভোরকা পরে গেছিলাম । আমি তখন বলে ছিলাম এখন থেকেই শুরু করতেছি কেমন লাগে । অনেক কথা বলতে বলতে তোমাকে আমি ধাক্কা মেরে ফেলে দিছিলাম আর তুমি পানিতে পড়ে ভিজে গেছিলে তখন আমি তোমার অবস্থা দেখে অনেক হেসেছিলাম আর তুমি রাগে ফুসছিলে । তখন তুমি বলছিলে আমি কিভাবে মেচে যাবো তখন আমি আমার ব্যাগ থেকে তোমার জন্য কেনা জামা এবং প্যান্ট বাহির করছিলাম আর তুমি তা দেখে আমার দিকে একপলক তাকিয়ে ছিলে আমি শুধু হাসছিলাম । তারপর শার্ট প্যান্ট পরে তুমি বাসায় চলে গেছিলে আর আমকে অনেক বকে ছিলে । তুমি আমাকে যে এতো ভালোবাসতে তা কল্পনায় করতে পারতাম না আমি যদি একবার ফোন না ধরতাম তাহলে তুমি অনেক রাগ করতে আর আমি তোমার রাগ ভাংগাতাম ।তোমাকে আমি কম খেতে বলতাম কেনো যানো কারন তুমি মেচে থাকতে কোন কাজ করতে না শুধু পড়াশুনা ছাড়া আর তুমি বেশি খেলে তুমি মোটা হএ যাবে তার ভয়ে । ভয় করতাম তার কারন তুমি মোটা হয়ে গেলে তোমাকে অনেক সুন্দর লাগতো আর যদি তুমি তখন অন্য কারোর হয়ে যাও তার ভয়ে । তোমাকে বলার কারনে আমিও খেতামনা ঠিকমতো কিন্ত তাও আমি মোটা হয়ে যেতাম আর তুমি খুব আমায় বকতে তখন তোমার বকা শুনতে আমার খুব ভালো লাগতো । তুমি যখন আমাকে কোন কারনে বক্তে আমি তখন লক্ষী মেয়ের মত সব শুনতাম আর পরে অনেক হাসতাম । আমি তোমাকে বাড়িতে আসতে বারন করতাম কি জন্য জানো কারন আমার এক বান্ধবি তোমাকে পছন্দ করতো তাই । তোমাকে ফোন করতে বারন করতাম আর আমি নিজে ফোন করতাম কারন তোমার পড়াশুনা করতে অনেক টাকা লাগতো । আর আমি যদি তোমাকে টাকা দিতে চাইতাম তাহলে তুমি রাগ করতে । আমি তুমি যেইদিন রিস্কায় ঘুরে বেড়াতাম আমার খুব আনান্দ লাগতো জানো । তোমার মনে আছে আমার বড় আপু দেখে বলেছিলো এতো তোর চেয়ে অনেক ছোট মনে হয় ক্লাস ৮ই পড়ে আর তুমি অনেক রাগ করেছিলে । আমার আপু বলেছিলো রাই তুই ওকে মানুষ করে নিস । আমি তোমার চেয়ে ২ বছরের বড় ছিলাম কিন্ত আমাদের ভেতর এ নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা ছিলোনা । তুমি এত মিস্টি খেতে পারতে তা দেখে আমি অবাক হয়ে যেতাম আর আমরা দুর্গা পূজায় লাড্ডুটা বানাতাম তুমি ঐগুলো খুব খেতে পারতে । সামনে পূজায় তোমাকে খাওানোর ইচ্ছে ছিলো কিন্ত হবে কিনা জানিনা , যদি না হয় তাহলে আমি রিয়া আপুকে বলে রেখেছি তোমার জন্য যেন অনেক লাড্ডু রাখে।তুমি বেশি মাছ খেতেনা যদি কাটা গোলায় বেধে যায় এটা মনে হলে অনেক হাসি লাগে । আমি যেই দিন ফেসবুক আইডি খুলে ছিলাম সেই দিন অনেক রাগ করেছিলে পরেত ঠিক হয়ে গেছিলো । আমি রাই সরকার থেকে শ্যামলা পরী নামে আইডি খুলি কারন তুমি সব সময় আমায় শ্যামলা পরী বলে ডাকতে । আমরা দুজনই দুই আইডির পিন নাম্বার জানতাম আর আমি আমার আইডি বাদ দিয়ে তোমার আইডি বেশি চালাতাম । তুমি কারোর সাথে কথা বলতেনা তাই তোমাকে অনেক জন অনেক কথা বলত যে আপনার খুব অহংকার ,আপনার দাম বেড়ে গেছে আরো অনেক কথা বলত । তখন আমার খুব রাগ হতো তাই আমি ওদের সাথে কথা বলতাম আর তুমি শুধু তিন জনার সাথে কথা বলতে এক হলো ডাক্তার নামে এক বন্ধু , তোমার বড় ভায়ের বন্ধু , আর রুনা নামে এক বান্ধবি । যখন তুমি গল্প লেখতে তখন আমি তোমায় শুধু ফোন করতাম আর তোমার বকা শুনতাম । তুমি অনেক অনেক রকম ভাবে কথা বলতে পারতে । অনেক মিস করছি তোমায় আর তোমার বকাগুলো থেকে । তুমি কুষ্টিয়া থেকে বাসায় গেলে যখন আমার সাথে কথা বলতে আর তখন তোমার আব্বু বা আম্মু চলে আসত, আর তখন বলতে আমার আম্মু আসতাছে এখন কথা বলতে পারবনা তখন খুব হাসি লাগতো।আমি তোমার বয়সের বড় তবু তুমি আমায় এতোটা ভালোবাসতে তা দেখে আমি নিজেই বিশ্বাস করতাম না আর নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হত যে তোমার মত একটি মানুষকে আমার জিবনে পেইয়েছি। মনে আছে তুমি আমার ওপর রাগ করে ফোন ভেঙ্গে ফেলেছিলে আর আমি খুব চিন্তাই পড়ে যায় তোমার ফোন না পেয়ে । সেই জন্য আমি একদিন তোমায় না বলে তোমায় দেখতে গেছিলাম আর তুমি অবাক হয়ে গেছিলে আমার কান্ড দেখে ।রিয়া আপু আর আমি তোমায় ফোন কিনে দিতে চাইছিলাম কিন্তু তুমি ফোন নাওনি । তোমার এইটা আমার খুব খারাপ লাগতো যে আমার থেকে কিছু নিতে চায়তে না ।তুমি এই ডাইরি দেখে অবাক হচ্ছো আর ভাবছো আমি এই ডাইরি কথাই পেলাম ,তুমি আমায় একটি ডাইরি দিবে বলেছিলে আর বলে ছিলে অনেক গল্প লেখা আছে । কিন্তু তুমি আমার কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ে ছিলে সেই দিন আমি তোমার ব্যাগ থেকে বাহির করে নিছিলাম আর তুমি তারপর থেকে বলতে কোন চোর আমার ডায়রি চুরি করে নিয়েছে আর আমি তোমার কথা শুনে শুধু হাসতাম। তোমার মনে আছে রাখি তোমায় শুধু লাড্ডুখর বলে রাগাতো আর তুমি রেগে ফাইয়ার হয়ে যেতে।
তুমি বলে ছিলে তোমার বাবা তোমার তোমার জন্য মেয়ে দেখে রেখে ছিলো তখন আমি বলতাম তুমি ঐ মেয়েকে বিয়ে করতে কিন্তু তুমি বলতে না আমি তোমাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবনা । ঐ মেয়েকে আমি দেখেছিলাম অনেক সুন্দর আছে যদি আমি না থাকি প্লিচ ওই মেয়েকে তুমি বিয়ে করবে । রিয়া আপুর বিয়েতে আমরা অনেক মজা করেছিলাম আর তুমি সবাইকে এমন একটি গল্প বলেছিলেযে প্রায় সবাই কেঁদে ফেলেছিল আর রাখি তোমার গোলা ধরে কাদতে ছিলো তা দেকে সবাই কেমন যেনো হয়ে গেছিলো।তুমি একদিন একটি মেয়ের দিকে তাকিয়ে ছিলে তা দেখে আমি বলেছিলাম তোমার চোখ আমি উপড়ে নিবো তাই তুমি অনেক ভয় পাইছিলে ঐ প্রথম আমায় দেখে তুমি ভয় পাইছিলে । আমার এখনো হাসি পাচ্ছে একটা কথা মনে পড়লে, যে আমি একটি গিফট দিয়েছিলাম আর তুমি তোমার আম্মুকে বলেছিলেযে ঐটা নাকি লালনের মেলা থেকে কিনে আনছো। মনে আছে একদিন তোমার ফোনে টাকা ছিলোনা আর তুমি তোমার আপুর ফোন দিয়ে বলেছিলে আমার নাম্বারে ফোন দিতে কথা বলা শেষে নাম্বারটা বিলাক লিস্টে রেখেছিলে । কিন্তু তোমার আপু অনেক দূর থেকে দেখে চিলো তুমি আমার শাথে কথা বলছো।তোমার আপু আমার নাম্বারটা বিলাক লিস্টে থেকে নিয়ে তোমার আব্বুর কাছে দিয়েছিলো । আর তোমার আব্বু আমার ফোনে ফোন করে ছিলো যে আমি কে , আমার প্রথমে কথা বলতে ভয় হচ্ছিলো । তোমার আব্বুর সাথে কথা বলে আমার এতো ভালো লেগেছিলো আমি তোমাকে বুঝাতে পারবনা আর মনে মনে ভাবতে ছিলাম বাবা যদি এমনই হয় তাহলে ছেলেতো অনেক ভালো হবেই । আর তোমার আব্বুর সাথে কথা বলছিলাম তাই জানার পর তোমার অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে গেছিলো তোমার বন্ধুর কাছে থেকে জেনেছিলাম । তুমি ভয় পাইছিলে তোমার বাবা তোমাকে আর পড়াবেনা, তুমি ভুল ভাবছিলে তোমার বাবার মতো বাবাই হয়না । তুমি আমার সাথে দেখা করতে চাইতেনা কারন আমি তোমার চেয়ে বয়সে বড় বলে কিন্তু আমি ছাড়তামনা ,তোমাকে আমি না দেখে থাকতে পারতাম না বলে । তোমার জন্য একটি সারপ্রাইজ আছে তাহলো আমি মুসলিম ধর্ম গ্রহন করেছি আমার পাশের বাসার এক হজুরের কাছে থেকে এটা শুধু রিয়া আপু জানে তাছাড়া কিউ জানেনা । আমি রিয়া আপুকে বলে রেখেছি আপু আমায় যদি ভারতে নিয়ে যাওা হয় তাহলে ওখান থেকে যদি না ফিরে আসি তাহলে আব্বু আম্মু আমার এইসব কথা বলো আর ইসলামের রীতিতে যেনো আমার দেহটাকে কবর দিও । এইসব কথা শুনে রিয়া আপু অনেক কাততো আর বলতো জুনায়েদ কে খবর দি । আমি বারন করতাম যেনো তুমি না যানো আমার এইসব খবর কারন তুমি জানলে আমার আগে তুমিই মারা যাবে তাই । এতোখন হয়তবা জেনেগেছো কিন্তু তুমি উল্টা পালটা কিছু করবেনা আমার ভালবাসার দোহায় লাগে তোমার । জানো আমি এখন রাই সরকার থেকে খাদিজা আক্তার নিঝুম হয়ে গেছি , আমি তোমার কথা রেখেছি । দেখো ডাইরির ১১০ নম্বর পৃষ্টাই একটি মেমরি টেপ দিয়ে লাগানো আছে তাতে তোমার সাথে কথা বলার সব কলরেকড আছে । এবার দুর্গা পূজায় আসবে কারন রাখি তোমার সাথে কথা বলতে চাইছে । জানো আমি এখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেছি তুমিও কিন্তু পড়বে। আজকে আমার অনেক কস্ট হচ্ছে তুমি কস্ট পাবে বলে । এবার আমার ইচ্ছে ছিলো ঈদে তোমাদের ওখানে আমি, রিয়া আপু, রাখি তোমাদের ওখানে বেড়াতে যাবো কিন্তু মনে হয় হবেনা । তুমি কস্ট পেওনা কারন আমি তোমার সাথে সব সময় ছায়া হয়ে থেকে যাবো আর তুমি তোমার বাবার পছন্দ মত মেয়েকে বিয়ে করবে কেমন । আর এখন থেকে বেশি থেকে বেশি করে খাবে ,ফেসবুক কম চালাবে ,পড়াশুনা বেশি করবে । আর কুষ্টিয়ার ওই মেয়েটাকে পাততা দিবেনা ওরা খুব ভালোনা । আমার ভালো লাগতো যে তোমার এক ছ্যার যখন আমার কথা বলে তোমাকে রাগাতো ,বলতো নাকি শুধু বড় আপুর পেছনে ঘুরে বেরাস কেনো । তোমার ঐ ছ্যারের নাম কি ছিলো যেনো ও মনে পড়েছে সিদ্দিক ছ্যার এখন থেকে ঐ ছ্যারেরো কথাগুলো মিছ করব ।
আজকে এই কথাগুলো কেনো লিখে গেলাম জানো তোমার কথা খুব মনে পড়ছে আর খুব কান্না পাচ্ছে তোমাকে ছেড়ে আমি চলে যাবো । লিখলাম আরো একটি কারনে যেনো আমায় তুমি কোন দিন ভুলে না যাও । জানি তুমি আমায় কোন দিন ভুলতে পারবেনা ।আমার কথা মনে পড়লে আমার এই লেখগুলো আর কথা বলার রেকড গুলো শুনবে । তোমার জন্য অনেক জিনিস রেখে গেলাম রিয়া আপু ঈদের দিন বা পরের দিন তোমার কাছে পোছায় দিবে। আমার জন্য কোখনো কাদবেনা বলেদিলাম তুমি কাদলে যে আমি কস্ট পাবো ।লেখা শেষ করতে মন চাইছেনা তবুও আর পারছিনা তুমি ভালো থেকো আর আমার জন্য দোয়া করো আমি যেনো জান্নাতে যেতে পারি আর তোমার সাথে জান্নাতে একসাথে থাকার জন্য আল্লাহুর কাছে আবেদন করতে পারি । হে আমার দয়াময় আল্লাহ আমি যার জন্য আজকে হিন্দু থেকে মুসলিম হতে পেরেছি তুমি দয়া করে জান্নাত বাসি করে দাও .........তোমার আদরের শ্যামলা পরী (নিঝুম) ---------
(ম্যাডাম যখন আদুরে বউ ৬ষ্ঠ পর্ব)
নিঝুমের চিঠি টা পড়ে ফারজানা ম্যাডাম আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি অঝর নয়নে কান্না করছে আর পাশে প্রিন্সিবাল ছ্যার আর ছ্যারের স্ত্রি তাদের চোখেও জল । আর আমি ত নিজেক ধরে রাখতে পারিনা যখন কেউ নিঝুমের কথা জিজ্ঞাসা করে । আর হ্যা আমাদে ঘটনা টা যে শুনে শেই আর মন ভালো করে থাকতে পারেনা । নিঝুমের এই ঘটনা আমার বাসার সবাই জানে এমন কি কলেজের ফ্রেন্ড ও ছ্যার র্পজন্ত জানে । ম্যাডাম এখন হাত দিয়ে মুখ ধরে কান্না করছে । আমাদে এই থমথমে পরিবেশ দেখে ওয়েটার র্পযন্ত মন খারাপ করে আছে । কিছু খন পর ছ্যার বললো ।
ছ্যারঃ জুনায়েদ বাসায় যাও এখন কালকে কলেজে আসবা কথা আছে ।
আমিঃ জ্বি ছ্যার ।
ছ্যারঃ ফারজানা তুমিও জুনায়েদের সাথে বাসায় চলে যাও ।
ম্যাডামঃ জ্বি ছ্যার ।
ছ্যারঃ ওকে তোমরা থাকো আমরা চলে গেলাম আমাদের একটু কাজ আছে ত ।
ম্যাডামঃ জ্বি ছ্যার ।
… প্রিন্সিবাল ছ্যার চলে গেলেন আর ম্যাডাম এখনো বসে আছে । আমি তখন বললাম ।
আমিঃ চলো তোমার বাসায় রেখে আসি ।সন্ধ্যা হয়ে যাবে আরেকটু পর।
ম্যাডামঃ আরেকটু বসে থাকিনা ।
আমিঃ তোমাকে বাসায় রেখে আমি বাড়িতে যাবো ।
ম্যাডামঃ তোমাকে বাসায় আজ যেতে হবেনা ।
আমিঃ মানে ?
ম্যাডামঃ আজকে তুমি আমার বাসায় থাকবে আর কালকে ত কলেজে আসতেই হতো ।
আমিঃ আমার বাসায় সবাই চিন্তা করবে ত ।
ম্যাডামঃ বাসায় ফোন দিয়ে বলে দাও তোমার বন্ধুর মেসে আছো তুমি ।
আমিঃ আমার বাসায় গেলে ভালো হতো। ( আমি থাকলে ম্যাম আরো কান্না করবে)
ম্যাডামঃ না যেতে হবে না বলেছি যেতে হবেনা ( কিছুটা রেগে)
আমিঃ আচ্ছা যাবোনা ।
……তারপর বাসায় ফোন করে বলে দিলাম আজ কে কুষ্টিয়াই থাকবো । এখন আমি আর ম্যাডাম হাটতেছি । কিছুখন পর দেখলাম ম্যাডাম আমার হাত ধরে হাটতে লাগলো আমি হাত ছাড়ায়া নিয়ে বললাম ।
আমিঃ এ কি করছে সবাই ত দেখছে ,
ম্যাডামঃ ত দেখলে কি হবে শুনি ।
আমিঃ কিছুনা মানে মানুষে কি বলবে ।
ম্যাডামঃ আমি যদি ঠিক থাকি মানুষে কে কি বললো সেটা দেখার বিষয় আমার নয় ।
আমিঃ কিন্তু তাও আমার না কেমন যেনো লাগতেছে ।
ম্যাডামঃ আর একটা কথাও বলবানা যা বলছি তাই করবা আর আমাকে রাগাবানা ।
আমিঃ আচ্ছা ম্যাডাম( ফারজানা অনেক রাগি )
ম্যাডামঃ ম্যাডাম বললা কেন ?
আমিঃ ভুলে মুখ দিয়ে বের হয়ে গেছে ।
ম্যাডামঃ ওকে ।
… হাত ধরে হাটতেছি সন্ধ্যা রাত্রে অনেক সুন্দর লাগছে আর হ্যা ফারজানাকে অনেক সুন্দর লাগছে যেনো মায়াবি পরী ।
আমিঃ আর কত দূর হাটতে হবে ?
ম্যাডামঃ কেন প্রবলেম আছে ।
আমিঃ না মানে তোমার বাসার রাস্তা ছেড়ে আসলাম তাই বললাম ।
ম্যাডামঃ লাভলি টাওয়ারে যাবো একটু ।
আমিঃ কেনো?
ম্যাডামঃ তুমি এত কথা বলো কেনো ।
আমিঃ ওকে সরি( কিছুটা অভিমানি করে)
ম্যাডামঃ কি আমার জান টা কি রাগ করেছে ,
আমিঃ না না আমি রাগ অকরতে যাবো কেন হুম ।
ম্যাডামঃ দেখো আমি নিঝুমের ঐ ঘটনা শুনে আমি আর ঠিক থাকতে পারছিনা । তাই তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে ফেলছি।
আমিঃ না তুমি ত আমার শোনাপাখি আমি কিছু মনে করিনাই ।
ম্যাডামঃ ঠিক ত ।
আমিঃ হুম ।
… কথা বলতে বলতে আমরা লাভলি টাওয়ারে চলে আসলাম তারপর দেখলাম কিছু র্সাট কিনলো আমার মাপের আমি বললে বলে উনার মামা ত ভাইয়ের জন্য কিনছে ।
কেনা কাটা হয়েগেলে রিক্সা করে ফারজানার বাসায় চলে আসলাম । কলিং বেল বাজাতেই ফারজানার মা দরজা খুলে দিলো ও আর হ্যা ফারজানার বাবা নেই তিনি অনেক আগেই মারা গেছে । এখন ফারজানা আর ফারজানার মা শুধু এখানেই থাকে আর ফারজানার বাবার অনেক টাকা ছিলো সেটা দিয়ে আর ফারজানার চাকরি দিয়ে ভালোই চলছে । আমাকে দেখে ফারজানার বলে ……
ফারজানার আম্মুঃ ফারজানা এই এই ছেলেটাকে ত চিনতে পারলাম না ।
ম্যাডামঃ তোমার জামাই ( আমি ত অবাক)
ফাঃআম্মুঃ কি সব বলছিস।
ম্যাডামঃ ঠিকি বলতেছি ।
ফাঃআম্মুঃ আরে মজা করিস না ত ।
ম্যাডামঃ মা আমি ঠিকি বলছি আমি একেই বিয়ে করব ত ।
ফাঃআম্মুঃ তুই সত্যি পাগলি হয়ে গেছিস ।
ম্যাডামঃ শোনো মা তোমার মেয়ে পাগলি হয়নি ।
ফাঃআম্মুঃ আমি কিছি বুঝতে পারছিনা ত।
ম্যাডামঃ শোনো তাহলে ওহ হলো জুনায়েদ আমার ছাত্র আর আমি ওকেই বিয়ে করব ।
ফাঃআম্মুঃ ওত তোর অনেক ছোট ।
ম্যাডামঃ তাতে কি হয়েছে ।
ফাঃআম্মুঃ মানুষে কি বলবে ।
ম্যাডামঃ মানুষের কে কি বললো সেটা আমার দেখার বিষয় নয় ।
ফাঃআম্মুঃ তা মানলাম কিন্তু তুই ত জুনায়েদের চেয়ে ৫ বছরে বড় হবি মনে হয় ।
ম্যাডামঃ না ৭ বছরে বড় হবো আমি।
ফাঃআম্মুঃ তাহলে ।
ম্যাডামঃ তাহলে কিছুনা তুমি ওদের বাসায় আমার জুনায়েদের বিয়ের ব্যপারে যাবে ।
ফাঃআম্মুঃ তারা কি বিয়ে দেবে ।
ম্যাডামঃ না দেওয়ার কি আছে শুনি ।
ফাঃআম্মুঃ দেখ মা তুই ওর চেয়ে অনেক বড় তারা এটা কখনো মানবেনা ।
ম্যাডামঃ আমি কিছুই জানিনা তুমি যাবে বলেছি যাবে ।
ফাঃআম্মুঃ আচ্ছা তুই যখন এত করে বলছিস তবে যাবো দেখি কি হয় ।
ম্যাডামঃ আমার লক্ষী আম্মু।
ফাঃআম্মুঃ হয়েছে । এবার তোরা খাওয়াদাওয়া করে ঘুমিয়ে পড় ।
ম্যাডামঃ আচ্ছা তুমি খাইছো ।
ফাঃআম্মুঃ হুম । থাক আমি ঘুমাইতে গেলাম ।
... ফারজানার আম্মু ঘুমাতে গেলো তারপরে আমরা খেয়ে দেয়ে ঘুমাতে যাবো তখন হলো একটা প্রবলেম হলো আমি এখন কোথায় ঘুমাবো এটা যেই বলেছি সেই ......
ম্যাডামঃ কয় ঘুমাবা মানে আমার রুমে ঘুমাবা ।
আমিঃ না আমি পারবনা ।
ম্যাডামঃ কোন খারাপ মতব আছে নাকি ।
আমিঃ কি আমার উপর এই বিশ্বাস গেলাম আমি চলে(রাগ দেখায়া বের হয়ে আসতেছি )
ম্যাডামঃ এই কয় যাও আমি ত মজা করে বললাম ।
আমিঃ আমাকে কষ্ট দিতে খুব ভালো লাগে (কিছু্টা অভিমান করে) ।
ম্যাডামঃ আসো আমার রুমে আর তুমি বিছানায় ঘুমাও আমি সোফায় ঘুমাচ্ছি ।
আমিঃ মটেও না আমার বউ কোন দিন সোফায় ঘুমাতে পারেনা । আমিই সোফায় ঘুমাই তুমি বিছানায় যাও ।
ম্যাডামঃ জ্বি না ছ্যার ।
আমিঃ আমি কিন্তু আবার রাগ করব ।
ম্যাডামঃ ওকে বাবু আমার ।
আমিঃ আমি বাবুউউউউউউউ।
ম্যাডামঃ না তুমি ত আমার জানপাখি (কপালে একটা চুম্মো দিয়ে )
আমিঃ হুম তাহলে ঘুমিয়ে গেলাম অনেক রাত হয়েছে ।
ম্যাডামঃ না একটু গল্প করব ।
আমিঃ না বলেচ্ছি ।
ম্যাডামঃ এবার আমি রাগ করব ।
......... অবশেষে রাগ ঠেকানোর জন্য গল্প করলাম কিছু খন পর ঘুমাতে গেলাম । ঘুমের মধ্য অনুভাব করলাম কে যেনো আমার উপর শুয়ে আছে আমি ত ভয়ে সেই হয়েগেছি । কিছুখন এভাবেই থাকলাম কিন্তু কিছুই হয়না অবশেষে হাত দিয়ে দেখলাম কে ।
যেই হাত দিয়ে ধরেছি সেই বড় রকমের ধাক্কা খাইছি । আরে ফারজানা আমার উপর ঘুমিয়ে আছে
(ম্যাডাম যখন আদুরে বউ ৭ম পর্ব)
বশেষে রাগ ঠেকানোর জন্য গল্প করলাম কিছু খন পর ঘুমাতে গেলাম । ঘুমের মধ্য অনুভাব করলাম কে যেনো আমার উপর শুয়ে আছে আমি ত ভয়ে সেই হয়েগেছি । কিছুখন এভাবেই থাকলাম কিন্তু কিছুই হয়না অবশেষে হাত দিয়ে দেখলাম কে ।
যেই হাত দিয়ে ধরেছি সেই বড় রকমের ধাক্কা খাইছি । আরে ফারজানা আমার উপর ঘুমিয়ে আছে ...............
আমি ত ভয়ে আমার সরির ঘেমে গেছে । আর তখনি ভয়ে ফারজানাকে অন্য কিছু ভেবে আমার উপর থেকে ফেলেদি আর তখনি ফারজানা সেই কান্না শুরু করে দেই আর বলে আমি নাকি তাকে ভালোবাসিনা ।
ম্যাডামঃ তুমি আমায় একটু ভালোবাসোনা (কান্না করতেছে এখনো )
আমিঃ কে বলেছে ভালোবাসিনা ?
ম্যাডামঃ আমি বলেছি তুমি আমায় ভালোবাসোনা ।
আমিঃ ধুর তুমি কি বলছো এইসব ।
ম্যাডামঃ যদি ভালোবাসতে তাহলে আমায় ধাক্কা মেরে নিছে ফেলে দিতে না ।
আমিঃ ধুর আমি জানতাম নাকি তুমি শুয়ে আছো আমার উপর ।
ম্যাডামঃ আমি ছাড়া এই ঘরে কি অন্য মেয়ে আছে শুনি ।
আমিঃ তা থাকবে কেনো ।
ম্যাডামঃ তাহলে বললে কেনো আমি শুয়ে আছি এটা জানো না ।
আমিঃ আমি মনে করেছিলাম অন্য কিছু সেই জন্য ভয় করে ফেলে দিছি ।
ম্যাডামঃ না তোমার অন্য মেয়ের সাথে রিলেশন আছে (এখনো কান্না করতেছে)
আমিঃ ধুর তুমি কি বলো এইসব ।
ম্যাডামঃ আমি ঠিকি বলছি ।
আমিঃ এত দিন আমার সাথে থেকে এই জেনেছো।(অভিমান করে বললাম)
ম্যাডামঃ ওলে আমার জানটুক রাগ করে না ।
আমিঃ আড়ি তোমার সাথে যাও।
ম্যাডামঃ এখন উল্টা রাগ আমার উপর দিচ্ছো ।
আমিঃ হুম
ম্যাডামঃ কি হুম ।
আমিঃ কিছুনা ।
ম্যাডামঃ কোথায় আমি রাগ দেখাবো না এখন উনি রাগ দেখাচ্ছে ।
আমিঃ আড়ি আড়ি যাও।
ম্যাডামঃকি করলে রাগ ভাঙ্গবে শুনি আমার জানের ।
আমিঃ জানিনা আর আমি কারোর জান না ।
ম্যাডামঃকাছে এসো আমি একটু ভালবাসা দি ।
আমিঃ লাগবেনা ভালোবাসা । যে আমায় বিশ্বাস করেনা ।
ম্যাডামঃবিশ্বাস করি ত ।
আমিঃ কয় করো।
ম্যাডামঃ এই তুমি আর আমি বিয়ের আগে একসাথে আছি এক রুমে ।
আমিঃ ধুর ।
ম্যাডামঃকি হলো আবার ?
আমিঃ কিছুনা ।
ম্যাডামঃ দাড়াও তোমার মজা দেখাচ্ছি ।
আমিঃ আমার গায়ে হাত দিবানা হু ।
ম্যাডামঃকেনো হাত দিবনা শুনি ।
আমিঃ জানোনা আমার গায়ে হাত দিলে আমি থাকতে পারিনা গায়ে খুব শুড়শুড়ি করে ।
ম্যাডামঃ তাহলে ত খুব ভালো এবার আমায় পায়কে ।
......এই বলে আমার গায়ের উপর এসে আমাকে শুড়শুড়ি দিচ্ছে আর আমি ছাড়া পাওয়ার জন্য চেষ্টা করতেছি । আসলে আমার কেউ হাত দিলে আমি আর বসে থাকতে পারিনা খুব শুড়শুড়ি আছে ।
ও সমানে আমার গায়ে শুড়শুড়ি দিতে আছে আর আমি মানা করতেছই তাও শুনে না ।
এই রে এ কি করলো এইবার উউউউম্মম্মম্মম্মম্মমহহহহহহহহহ।
আমিঃ কি হলো এইবার
ম্যাডামঃকিছুনা ।
আমিঃ কিছুনা মানে আমার অনুমতি ছাড়া তুমি আমায় কিচ করলা কেন?
ম্যাডামঃআমার ইচ্ছে হয়েছে করেছি তোমার কি।
আমিঃ আমার কি মানে এই টা শুধু আমার বউ ছাড়া কেউ করতে পারবেনা ।
ম্যাডামঃ তাহলে আমি টা কে হুম?
আমিঃ তুমি আমার কলেজ ম্যাডাম।(রাগানোর জন্য বললাম )
ম্যাডামঃকি বললা তুমি( চোখ গরম করে )
আমিঃ না তুমি ত মার বউ ত আমার মিষ্টি বউ ।
ম্যাডামঃ তাহলে এতখন এমন করলা কেনো ।
আমিঃ আমার বউ এর সাথে একটু মজা করলাম হিহিহি ।
ম্যাডামঃ হাসা আমি বের করে দিচ্ছি দাড়াও ।
...... আবার এসে শুরু করলো । আর আমি একটুর জন্য দম বন্ধ হয়ে মারা জায়নি ।
বাহবা কি মেয়েরা এত জরে বুকের উপরে থেকে আমার মুখের বারোটা বাজায় দিছে ,
ম্যাডামঃ এইবার হয়েছে তোমার বাসায় যেতে হবে তাড়াতাড়ি উঠো ।
আমিঃ যা করলা আর উঠতে মন চাইছেনাগো ।
ম্যাডামঃকি করলা তোমায় ।
আমিঃ কিছুই ত করনি তুমি ত বাচ্ছা তাইনা ।
ম্যাডামঃ হু আমি ত বাচ্ছা হিহিহি ।
আমিঃ হুম বুঝলাম ত ।
ম্যাডামঃ এবার উঠে ফ্রেস হয়ে আসো খেয়েদেয়ে আম্মু আমি আর তুমি তোমার বাসায় যাবো ।
আমিঃ আমার না বাসায় যেতে ভয় করছে ।
ম্যাডামঃ কেনো ।
আমিঃ জানিনা কিন্তু আব্বু মনে হয় আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিবে ।
ম্যাডামঃ ধুর কিছু হবেনা আমি আছিনা ।
আমিঃ তাও ভয় করতেছে ত ।
ম্যাডামঃ ধুর বোকা ভয় কিসের ।
আমিঃ আমায় যদি বাসায় থেকে বের করে দেই তাহলে ।
ম্যাডামঃ তাহলে তুমি আমার বাসায় থাকবা বুঝেছো ।
আমিঃ হুম বুঝলাম কিন্তু ...
ম্যাডামঃ কিন্তু কি ?
আমিঃ আমাকে ত তারায় এত বড় করেছে আর টাকা পয়সা খরচ করে লেখা পড়া শিখাচ্ছে তাহলে কেমনে থাকুম।
ম্যাডামঃ ধুর কিছু হবেনা আমি বলছি ত ।
আমিঃ তাই যেনো হয় ।
...... তারপর ফ্রেস হয়ে খাওয়াদাওয়া করে আমি ফারনানা আর ফারজানার আম্মু প্রথমে আমাদের কলেজে গেলাম প্রিন্সিবালের সাথে দেখা করতে কি বলবেন উনি তা শুনার জন্য তারপর আমার বাসায় যাবো কিন্তু আমার ত সেই ভয় লাগতেছে ।
(ম্যাডাম যখন আদুরে বউ – ৮ম পর্ব)
তারপর ফ্রেস হয়ে খাওয়াদাওয়া করে আমি ফারজানা আর ফারজানার আম্মু প্রথমে আমাদের কলেজে গেলাম প্রিন্সিবালের সাথে দেখা করতে কি বলবেন উনি তা শুনার জন্য তারপর আমার বাসায় যাবো কিন্তু আমার ত সেই ভয় লাগতেছে ।
...কিছুখন পরে কলেজে আসলাম । এসে দেখতেছি প্রিন্সিবাল ছ্যার আগে থেকেই বসে আছে আমাদের জন্য ।
তারপর সালাম দিয়ে কথা শুরু করলাম ।
প্রিন্সিবাল ছ্যারঃ জুনায়েদ বসো ।
আমিঃ জি ছ্যার।
প্রিঃছ্যারঃ ফারজানা তুমি তোমার আম্মু কে নিয়ে একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসো । আমি একটু জুনায়েদের সাথে কথা বলব ।
ম্যাডামঃ জ্বি ছ্যার ।
...... ম্যাডাম আর আন্টি বাইরে চলে গেলেন তখন ছ্যার বলতে শুরু করলো।
প্রিঃছ্যারঃ জুনায়েদ শোনো ফারজানা তোমার চেয়ে বয়সে অনেক বড় প্রায় ৫বছর হতে পারে তবে আমি জানিনা । আর হ্যা নিঝুমও তোমার ২ বছরের বড় ছিলো কিন্তু নিঝুম কে ত তোমার পরিবার মেনে নিতো । ফারজানা কে কি মেনে নিতে পারবে কিনা আমি জানিনা । নিঝুম হিন্দু ছিলো কিন্তু তোমার জন্য ইসলাম র্ধ্ম গ্রহন করে ছিলো আর এটাই তোমার জিবনের সব চেয়ে বড় পাওয়া ছিলো কিন্তু সে ত আর নেই ।
-
আমিঃ ছ্যার নিঝুমের কথা যদি না বলতেন , ওর কথা মনে পড়লে আমার খুব কস্ট হয় ।
প্রিঃছ্যারঃ আমারো খারাপ লাগতেছে কিন্তু এই কথাগুলো বলতে হবে । ফারজানা তোমাকে অনেক ভালবাসে আমি সেটা এই কয় দিনে বুঝতে পেরেছি । আর ফারজানা মেয়ে টা অনেক ভালো জানো আর ওকে তুমি কোন দিন কস্ট দিবেনা । জানিনা তোমাদের সর্ম্পক সবাই মেনে নিবে কিনা । তাও আমি বলতে চাই ফারজানার সাথে তোমার বিয়ে হলে নিঝুমের কস্ট কিছুটা কম তে পারে । হ্যা নিঝুম কে তুমি কোন দিন ভুলতে পারবেনা । আর তোমার বাসায় আমিও আজকে যাবো শুধু ফারজানার জন্য তোমার পরিবারে সাথে কথা বলতে ।
আর এই কথা গুলো বলার ছিলো।
আমিঃ জ্বি ছ্যার আমি সব বুঝতে পেরেছি ।
প্রিঃছ্যার এবার চলো তোমার বাসায় যাওয়া যাক ।
আমিঃ জ্বি ছ্যার ।
......কথা শেষে আমি আর প্রিন্সিবাল ছ্যার বাহিরে বের হয়ে ফারজানা আর আন্টি কে ডেকে নিয়ে আসলাম ।
কলেজ থেকে বের হয়ে অটো গাড়ি নিয়ে মজম পুরে আসলাম সবাই ।
...
মজম পুরে এসে আরো বিপদ হয়েগেলো বাসের জন্য দাঁড়ায় আছি আর আমাদের বাসায় যাওয়ার যে রাস্তা এক ঘন্টার রাস্তা এখন যেতে লাগবে প্রায় সারে ৩ঘন্টা । আর হ্যা এটাই আমাদের কুষ্টিয়ার ডিজিটাল রাস্তা ।
...কিছুখন পর বাস আসলো । বাসে উঠলাম সবাই আর ভাঙ্গা রাস্তায় গাড়ি তার নিজ গতিতে চলতে শুরু করলো । এই কি ফারজানা ত মন খারাপ করে জানালার ধারে বসে আছে তা দেখে আমি প্রিন্সিবাল ছ্যার কে বললাম ।
আমিঃ ছ্যার ও ত মন খারাপ করে আছে বাসায় যাওয়ার আগেই।
প্রিঃছ্যারঃ আমি দেখতেছি ।
..ছ্যার তখন ফারজানা কে ডেকে বললো ...।
প্রিঃছ্যরাঃ ফারজানা কি হয়েছে তোমার /
ম্যাডামঃ কিছু হয়নি ছ্যার কিন্তু আমার খুব ভয় করছে ।
প্রিঃছ্যারঃ এখন এইসব ভেবে লাভ নেই ।
ম্যাডামঃ জ্বি ছ্যার ।
......... অনেক খন আসার পরে আমাদের আল্লার র্দ্গা বাজারে বাস থামলো আর আমরা সবাই নেমে পড়লাম আর ভ্যান গাড়ি করে আমার বাসায় যাচ্ছি কিন্তু আমার মনে হচ্ছে আমি মনে হয় কোন গভির গর্তে পড়ে আছি সারা সরীর ঘেমে গেছে ভয়ে ।
বাসার সামনে এসে সবাই নেমে পড়লাম আর দেখি আমার আব্বু আম্মু দাদা দাদি সবাই বাইরে বসে আছে ।
তাদের সাথে ছ্যার ম্যাডামের পরিচয় করিয়ে দিলাম ।
খাওয়া দাওয়া শেষ করে ।
এখন আমার রুমের মধ্যে সবাই বসে আছি সাথে আব্বু আম্মু আছে আর তখন ছ্যার বলতে শুরু করলো । আমার বাবাকে বললো।
।
প্রিঃছ্যারঃ আমরা এসেছি জুনায়েদের বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতে ।
বাবাঃ কি বলছেন এইসব এখনি বিয়ে ।
প্রিঃছ্যারঃ হ্যা ওর বিয়ের কথা,
বাবাঃ না এত ছোট কালে ওর বিয়ে দেওয়া যাবেনা ।
প্রিনঃছ্যারঃ কেনো ওর ত বয়স হয়েছে আর মেয়েটাও অনেক ভালো ত ।
বাবাঃ মেয়ে যতয় ভালো হক আমরা বিয়ে দিতে পারবনা । ওত এর খরচ চালাতে পারেনা তারপর বিয়ে হলে কেমনে কি হবে ।
প্রিঃছ্যারঃ ও নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবেনা মেয়ের যা আছে তা দিয়ে ওদের ভালো চলে যাবে ।
বাবাঃ আমার ছেলে কে আমি ঘর জামাই থাকতে দিবোনা ।
প্রিঃছ্যারঃ না ঘর জামাই থাকবে কেনো আপনার ছেলে এখানেই থাকবে ।
......।এই কথা গুলো আমার আব্বু আর ছ্যার বলতেছে আর এইদিকে ফারাজানার অবস্থা একদম খারাপ ।
ওর কান্না দেখে আমার আম্মু বলছে।
আম্মুঃ তুমি কান্না করতেছো কেনো ?
ম্যাডামঃ না কিছুনা এমনি চোখে কি যেনো পড়েছে ।
...আর তখন ছ্যার বলতে লাগলো ......
প্রিঃছ্যারঃ তাহলে শোনেন ফারজানা কেনো কান্না করছে ।
বাবাঃ কেনো?
প্রিঃছ্যারঃ আসলে জুনায়েদের সাথে যেই মেয়েটার বিয়ের কথা বলতেছি সে আর কেউ না সে হলো ফারজানা ।
......আর এই কথা বলার পরে আব্বু আম্মু সবাই অবাক হয়ে যায় ।
আব্বুঃ এই হয় না কিছুতেই হয় না ।
প্রিঃছ্যারঃ কেনো হবেনা ?
বাবাঃ কারন জুনায়েদের চেয়ে অনেক বড় ত ।
প্রিঃছ্যারঃ নিঝুম ওত বড় ছিলো তাকে ত ঠিকি মেনে নিতেন ।
বাবাঃ হ্যা নিতাম কারন মেয়েটা অনেক ভালো ছিলো আর আমার ছেলের জন্য সে হিন্দু র্ধ্ম থেকে ইসলাম র্ধ্ম গ্রহন করেছিলো।
প্রিঃছ্যারঃ ফারজানা অনেক ভালো একটা মেয়ে আর জুনায়েদ কে কোন দিন কস্ট দিবেনা আমার জানা মতে ।
বাবাঃ না এটা হয় না সমাজের মানুষ ত এটা নিয়ে অনেক খারাপ কথা বলবে ।
প্রিঃছ্যারঃ আমরা যদি ঠিক থাকি তাহলে কে কি বললো তা দেখার বিষয় আমাদের নয় ।
...ফারজানার আম্মু আব্বুকে বলতে লাগলো ...
আন্টিঃ দেখেন ভাইজান আমার মেয়েটা অনেক লক্ষি একটা মেয়ে ও কোন দিন বাবার আদর পাইনি , ও ছোট থাকতে মারা গেছে । আর ওর সুখের জন্য আমি সব করতে পারি । প্লিজ ভাইজান আমার মেয়েটাকে একটু আপনাদের ভালবাসার একটু ভালবাসা দিয়েন ।
......এই কথা বলে ফারজানা আর আন্টি কান্না করতেছে । আর আমার আব্বু কে যে যায় বোঝায় তাই বুঝে , তখন আব্বু বললো।
বাবাঃ কান্না একটু থামানা আমি না হয় ফারজানাকে মেনে নিলাম কিন্তু সমাজ ত ভালো চোখে দেখবেনা ।
প্রিঃছ্যারঃ আমি ত বললাম আপনারা ঠিক থাকলেই হবে ।
বাবাঃ আচ্ছা কথা বলতে বলতে ত অনেক রাত হয়ে গেলো । এখন এই সব থাক আজ কে আমাদের বাসায় থাকবেন তারপর কালকে আবার এই নিয়ে কথা হবে ......।
আর কালকেই জানাবো কি হবে ।
(ম্যাডাম যখন আদুরে বউ… ৯ম পর্ব)
-বাবাঃ কান্না একটু থামানা আমি না হয় ফারজানাকে মেনে নিলাম কিন্তু সমাজ ত ভালো চোখে দেখবেনা ।
প্রিঃছ্যারঃ আমি ত বললাম আপনারা ঠিক থাকলেই হবে ।
বাবাঃ আচ্ছা কথা বলতে বলতে ত অনেক রাত হয়ে গেলো । এখন এই সব থাক আজ কে আমাদের বাসায় থাকবেন তারপর কালকে আবার এই নিয়ে কথা হবে ......।
আর কালকেই জানাবো কি হবে ।
…কথা শেষে রাত্রের খাবার খেয়ে সবাই ঘুমাতে গেলো আর আমি আমার রুমে আসলাম ঘুমাতে …তখনি ফারজানার ডাক……।
ম্যাডামঃ ঐ দোরাজা খোলো।
আমিঃ কেন আমি ঘুমাবো।
ম্যাডামঃ আমিও ঘুমাবো ত ।
আমিঃ তুমি আম্মুর রুমে ঘুমাও যাও ।
ম্যাডামঃ ধুর আম্মুর রুমে খালা আর নানি ঘুমিয়েছে ।
আমিঃ খালা আর নানি কোথায় থেকে আসলো ?
ম্যাডামঃ তোমার আম্মু ফোন করে ডেকে নিয়ে আসছে … কিহলো দোরাজা খোলো বলছি শিত লাগছে ত ।
আমিঃ হু দাড়াও ।
ম্যাডামঃ দোরাজা খোলতে এত টাইম লাগে কেন কার সাথে চ্যাট করতেছিলা হুম।
আমিঃ হিহিহি তুমি চ্যাটের কি বুঝো ?
ম্যাডামঃ হিহি বুদ্ধু আমি সব এখন বুঝি কারন এর পর থেকে ত এই গল্প পাগল কে দেখে রাখতে হবে ।
আমিঃ তা কিভাবে বুঝলে ?
ম্যাডামঃ আমার ছোট দেবরের কাছ থেকে শিখেছি আর এত খন ও ফেসবুক কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সব দেখাচ্ছিলো আর তুমি কয় টা মেয়েরর সাথে চ্যাট করো সব বললো হিহিহি।
আমিঃকিইইইইইইইইইইই আমি কয়টা মেয়ের সাথে চ্যাট করি হুম।
ম্যাডামঃ ধুর তুমি ত চ্যাট করোনা তোমাকে ওরা সব মেছেজ দেই আর তুমি রিপ্লাই দাওনা তখন অনেক জন তোমাকে হুমকি দেই ।
আমিঃ তাই নাকি তা কেমন হুমকি শুনি?
ম্যাডামঃ ঐ নিল পরী নামে এই আইডি টা বলেছে তুমি যদি কথা না বলো তাহলে তোমাকে দেখে নিবে বলেছে আর সে নাকি কুষ্টিয়া ৩ আসনের সাংসদের কোন রিলেটিভ হয় ।
আমিঃ তুমি এত সব জানলে কি ভাবে ?
ম্যাডামঃ ম্যাজিক জানি যেমন তোমাকে ম্যাজিক করেছি হিহিহিহি......
আমিঃ ধুর সত্যি করে কও ।
ম্যাডামঃ আরে বুদ্ধু তুমিই ত একদিন বলেছিলা আমি যেই দিন ফেসবুক বুঝবো সেই দিন পাচওয়ার্ড আর ই-মেইল নাম্বার দিয়ে রাখছিলে আমার কাছে আর এত খন হুসাইন এর কাছে থেকে সব শিখে নিলাম ।
আমিঃ হুম ভালোই করেছো এইবার ঘুমাতে ত হবে বাই ...
ম্যাডামঃ ধুর গল্প করব ত ।
আমিঃ পারবনা আমি এখন গল্প করতে আর তুমি আম্মুর রুমে গিয়ে ঘুমাও আর আমি গেলাম ঘুমাতে বাই ।
ম্যাডামঃ ধুর আমি এখানে ঘুমাবো আর আম্মুর কাছে ত খালা নানি ঘুমিয়ে আছে ।।
আমিঃ আমি কিছু জানিনা তুমি যাও আর বিয়ের আগে একসাথে ঘুমাতে পারবনা ...
ম্যাডামঃ কেন কেন ?
আমিঃ বিয়ের আগে একসাথে থাকতে হয়না ...
ম্যাডামঃ ঐ তুমি এত লুচ্চা হয়ে যাচ্ছো কেনো দিন দিন ।
আমিঃ মানে?
ম্যাডামঃ মানে খুব সোজা তুমি এমন ধারনা করতেছো ত সেই জন্য বললাম ।।
আমিঃ ধুর কি বিপদে পড়লাম ...
ম্যাডামঃ আচ্ছা কি করলে একসাথে ঘুমাতে পারবো হু ( কিছুটা রেগে )
আমিঃ ৩বার কবুল বলতে হয় ।
ম্যাডামঃ ওকে । কবুল কবুল কবুল ...
আমিঃ ধুর শুধু কবুল বললে হবেনা ত ।
ম্যাডামঃ তাহলে আবার কি করতে হবে ?
আমিঃ সাক্ষী থাকতে হয় ত ।
ম্যাডামঃ ধুর ভালো লাগেনা তুমি ঘুমাও আমি ...
আমিঃ ওকে জানু বাই ।।
ম্যাডামঃ ওকে বাই।
...আমার ঘুমানো ১ ঘন্টা হয়নি ঘুমের দেশে আছি কিন্তু কি যেনো আমার কান ধরে টানতেছে ।। ধুর ভালো লাগেনা ... আর আমি চোখ খুলে দেখি ত অবাক কারন আমার প্রান প্রিয় ফাজিল বান্ধবি গুলা আমার সামনে বসে খিল খিল করে হাসতেছে ।আর আমার জানটুক হাসতেছে আর আমার দিকে চেয়ে আছে এমন ভাবে যেনো আবার প্রেমে পড়ে যায় । আর আমার বান্ধবিরা এরা হলো ।। রুনা , হিমা , জান্নাত, লাকী , লাবণ্য ...
আমিঃ ওই ফাজিলেরা তোরা কোথায় থেকে উড়ে আসলি ?
সবাই তখন বলে উঠে ভাবি আলাদিনের বাতিরে ডাকে আমরা না এসে থাকতে পারলাম না হিহিহি ।
আমিঃ আর তোরা সবাই একসাথে কিভাবে /
রুনাঃ আমার বাসায় বেড়াতে আসছিলো আর ভাবি তখন আমাদের ফোন দেই আর আমরা খাওয়া দাওয়া মিস করতে চাইনি চলে আসলাম হিহিহি ভালো করিনাই বল।
আমিঃ হুম খুব ভালো করেছি এবার যা আমি ঘুমাবো কাল যে কি হবে কি জানি ।
ম্যাডামঃ ওই আমি এত কষ্ট করে এদের ডেকে আনলাম এমনি নাকি?
আমিঃ আমি কি জানি হু ।
ম্যাডামঃ এরা আমার সাক্ষী বুঝলা ।
আমিঃ ধুর তুমি এমন কেনো বিয়ে ত হলে ২ দিন পরেই হবে ।
ম্যাডামঃ ধুর তোমাকে এখন বিয়ে করতে যাচ্ছে কে?
আমিঃ তাহলে ...
ম্যাডামঃ তোমার সাথে থাকা একসাথে থাকা যাবেনা বলে সেই জন্য বুঝলা।
আমিঃ আমার সব কপাল আমারে কেউ বিয়ে করতে চাইনারে ...।
ম্যাডামঃ জান্নাত তুমি কাজি হবা ... আর তোমার সবাই সাক্ষী আর দাড়াও তোমার ভাইদের ডেকে নিয়ে আসি তারাও ত সাক্ষী হবে।( আমার ছোট ভাই আর আমার চাচা ত ভাইকে ডেকে নিয়ে আসলো।।
আমিঃ আল্লাহু কি জালায় পড়লাম আমি।
...কবুল র্পব আর সাক্ষী র্পব শেষে ... ওরা সবাই চলে গেলো আর আমি আমার রুমে বসে আছি ।
আমিঃ যাও তুমি বিছানায় ঘুমিয়ে পড়ো আর আমি ঘুমাতে গেলাম সোফাতে বাই ।।
ম্যাডামঃ ঐ এত কষ্ট করে কবুল সাক্ষী কেন করলাম হু তারাতাড়ি বিছানায় বসো ( আমার কান ধরে নিয়ে যাচ্ছে )
আমিঃ উহহহহহহহ লাগছে ত ভালো করে বললেই ত হয় আমি যেতাম ।
ম্যাডামঃ হু তুমি যে কত ভালো ছেলে আমি সব জানি ।
আমিঃ ধুররররররররর.........।
... মাঝখানে কোলবালিশ তা নিয়ে ঘুমায়ে পড়লাম কিন্তু কিছুখন পরে দেখছি ফারজানা কান্না করতেছে ...
আমিঃ ওই তোমার আবার কি হলো কান্না কেন করো ।
ম্যাডামঃ নিশচুপ...।।
আমিঃ কিহলো বলো ?
ম্যাডামঃ .........( বিছানায় থেকে উঠে ছাদে চলে গেলো কান্না করতে করতে )
...। আমি আর কি করব আমি কিছুখন বসে থাকলাম আসে নাকি কিন্তু এখনো আসেনি এই শিতে এখনো ছাদে দাঁড়িয়ে আছে ...আমি আর থাকতে না পেরে ছাদে গেলাম...
গিয়ে দেখি দাঁড়িয়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করতেছে একদম বাচ্ছাদের মত ।। রাগ ত কমাতে হবে তাই ওর পেছোনে গিয়ে ওর শাড়ির আচলের নিছে দিয়ে কোমর হাত দিলাম আর তখনি ভুত দেখার মত ভয় করে ভয় করে উঠলো...।
ম্যাডামঃ তুমি কেনো এখানে আসছো আর আমার কোমরে হাত দিয়া সাহস কিভাবে হলো ( এখনো কান্না করতেছে)
আমিঃ আমার বউ এর কাছে আমি আইছি আর আমার বউ আমি যা মন তাই করতে পারি হু ।।
ম্যাডামঃ বউ না ছায় ।
আমিঃ তুমি ত আমার ৩বার কবুল করা বউ ( কপালে একটা চুম্মু দিয়া)
ম্যাডামঃ ধুর এত সোহাগ করা লাগবেনা যাও ত আমার ভালো লাগছেনা ।
আমিঃ প্লিজ জানু চলো খুব শিত লাগছে ত আমি ঘুমাবো ।
ম্যাডামঃ তোমার শিত লাগলে তুমি যাও আমি পারুম না ...
আমিঃ ওকে ( রাগের উপর রাগ করলে নাকি অনেক কিছু হয় তাই রাগ করে রুমে চলে আসলাম .)
... এসে বিছায়নায় ঘুমানোর ভান করে থাকলাম কিছুখন পরে ফারজানা রুমে আসার শব্দ শুনলাম ।। আমি এখনো ঘুমের ভান করে আছি ...
ও এসে কিছুখন দাঁড়িয়ে থেকে আমার বুকের উপর শুয়ে পড়লো আর এখনো ফুপিয়ে কান্না করতেছে ...।😍ম্যাডাম যখন আদুরি বউ 😍
(মেলায় যখন আদুরে বউ শেষ র্পব)
... মাঝখানে কোলবালিশ তা নিয়ে ঘুমায়ে পড়লাম কিন্তু কিছুখন পরে দেখছি ফারজানা কান্না করতেছে ...
আমিঃ ওই তোমার আবার কি হলো কান্না কেন করো ।
ম্যাডামঃ নিশচুপ...।।
আমিঃ কিহলো বলো ?
ম্যাডামঃ .........( বিছানায় থেকে উঠে ছাদে চলে গেলো কান্না করতে করতে )
...। আমি আর কি করব আমি কিছুখন বসে থাকলাম আসে নাকি কিন্তু এখনো আসেনি এই শিতে এখনো ছাদে দাঁড়িয়ে আছে ...আমি আর থাকতে না পেরে ছাদে গেলাম...
গিয়ে দেখি দাঁড়িয়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করতেছে একদম বাচ্ছাদের মত ।। রাগ ত কমাতে হবে তাই ওর পেছোনে গিয়ে ওর শাড়ির আচলের নিছে দিয়ে কোমর হাত দিলাম আর তখনি ভুত দেখার মত ভয় করে ভয় করে উঠলো...।
ম্যাডামঃ তুমি কেনো এখানে আসছো আর আমার কোমরে হাত দিয়া সাহস কিভাবে হলো ( এখনো কান্না করতেছে)
আমিঃ আমার বউ এর কাছে আমি আইছি আর আমার বউ আমি যা মন তাই করতে পারি হু ।।
ম্যাডামঃ বউ না ছায় ।
আমিঃ তুমি ত আমার ৩বার কবুল করা বউ ( কপালে একটা চুম্মু দিয়া)
ম্যাডামঃ ধুর এত সোহাগ করা লাগবেনা যাও ত আমার ভালো লাগছেনা ।
আমিঃ প্লিজ জানু চলো খুব শিত লাগছে ত আমি ঘুমাবো ।
ম্যাডামঃ তোমার শিত লাগলে তুমি যাও আমি পারুম না ...
আমিঃ ওকে ( রাগের উপর রাগ করলে নাকি অনেক কিছু হয় তাই রাগ করে রুমে চলে আসলাম .)
... এসে বিছায়নায় ঘুমানোর ভান করে থাকলাম কিছুখন পরে ফারজানা রুমে আসার শব্দ শুনলাম ।। আমি এখনো ঘুমের ভান করে আছি ...
ও এসে কিছুখন দাঁড়িয়ে থেকে আমার বুকের উপর শুয়ে পড়লো আর এখনো ফুপিয়ে কান্না করতেছে ...।
আমিঃ এই পাগলি টা কান্না করছো কেনো?
ম্যাডামঃ(নিশ্চুপ)…
আমিঃ কি হলো ।
ম্যাডামঃ আমাকে কষ্ট দিতে তোমার খুব ভালো লাগে?
আমিঃ ধুর তুমি কি বলো তুমি ত আমার জানপাখি …
ম্যাডামঃ জান না ছায় ।
আমিঃ দেখি আমার জানটাকে ( ওর মুখটা আমার দিকে ঘুরিয়ে )
ম্যাডামঃ তুমি এমন করতেছো কেন ?
আমিঃ কি করতেছি ?
ম্যাডামঃ এই আমার কপালে চুম্মু দিলা ।
আমিঃ এই টা আমার অধিকার হিহিহি।
ম্যাডামঃ এতো হাসলে দাতগুলো সব ভেঙ্গে দিবো ।
আমিঃ তাহলে তুমি বুকড়ির বউ হয়ে যাবে …
ম্যাডামঃ জ্বি না আমি তোমার বউ এই পিচ্ছিটার আদুরি বউ ।
আমিঃ আদরের না ছাই ।
ম্যাডামঃ কিইইইইইইই?
আমিঃ ঠিকি ত বলেছি তুমি একটু আদর করোনা ।।
ম্যাডামঃ ঐ লুচ্চা এত আদর খাওয়ার সখ কেন হু?
আমিঃ কি আমি লুচ্চা যাও তুমি এই লুচ্চার কাছে থাকতে হবেনা ( ওকে বুকের উপর সরিয়ে দিয়ে)
ম্যাডামঃ ও দেখি আমার পিচ্ছি বর তা রাগ করেছে ।
আমিঃ ধুর …
ম্যাডামঃ দাড়াও দেখাচ্ছি (বলেই অতল সাগরে হারিয়ে গেলাম)
আমিঃ না আপনাদের বলা যাবেনা ।
ম্যাডামঃ হয়েছে এবার ।
আমিঃ খুব হয়েছে হিহি আমার আদুরি বউ ।
ম্যাডামঃ আমার পাওনা এখনো পাইনি কিন্তু ।।
আমিঃ ওকে …………
ম্যাডামঃ তুমি কত্ত ভালো ( আমার গাল দুটা টেনে বললো)
আমিঃ উউউউউউউহহহহহহহ ।
ম্যাডামঃ কি হলো ।
আমিঃ এত জরে গাল টানে ব্যাথা করছে ত ।
ম্যাডামঃওকে ব্যাথা কমিয়ে দিচ্ছি উউউউউউউউম্মম্মম্মম্ম … হয়েছে ।
আমিঃ খুব হয়েছে ।
ম্যাডামঃ তাহলে এইবার ঘুমাও।
আমিঃ হুম …
আমার বুকের উপর ফারজানা ঘুমিয়ে গেলো আর আমি ওর মায়াবি মুখ টা মিস করতে চাইনা তাই ওর দিকে তাকিয়ে আছি …।
সকালে ঘুম ভাঙ্গলো ফারজানার ডাকে
…
ম্যাডামঃ এই যে ছ্যার ঘুম থেকে উঠুন অনেক বেলা হয়ে গেছে ।।
আমিঃ আর আমি তখন ঘুম চোখেই ফারজানাকে টান দিয়ে আমার নিচে ফেলে দিলাম ।
ম্যাডামঃ এই এই কি করছো এই সব সবাই দেখবে ত প্লিজ ছাড়ো প্লিজ …
আমিঃ ছাড়ুম না আমার বউ কে আমি ধরেছি কার কি হু ।
ম্যাডামঃদাড়াও দেখাচ্ছি মজা ( তাই বলে আমায় বিছানা থেকে নিচে ফেলে দিয়ে হাসতে হাসতে চলে গেলো)
।।
আর এই দিকে ত আমার অবস্থা খুব খারাপ অনেক টা কেটে গেছে হাতের কবজিতে …
ধুর ভালো লাগেনা ।। এইসব ভাবতে ভাবতে আমার রুমে আব্বু চলে আসছে ।এসেই আব্বু বললো আজকে তোদের বিয়ে তাই কিছু কাজ করা লাগবে আর এই সব কাজ তুই করবি ।
যাহ আমার উপর বাশ টা গেলো এত কাজ আমি পারুম না । কাকে কি বলছি সব এখন আমাকেই করা লাগবে … রুম থেকে বের হয়ে ত আমি অবাক আমার যত আত্বীয় স্বজন আছে প্রায় সবাই চলে আসছে আর আমাকে দেখে ত সবাই হাসতেছে ।
আমি ফ্রেশ হয়ে বাজারে গিয়ে যা যা লাগবে সব কিনে নিয়ে আসলাম …
… অনেক জল্পনা কল্পনার পরে আমাদের বিয়ে টা হয়ে গেলো আর এখন আমি আমার রুমের সামনে দাঁড়িয়ে আছি আর মনে মনে ভয় ও পাচ্ছি অভিজ্ঞতা ত নতুন হিহিহি …
…
অবশেষে ভয় কে জয় করে রুমে ঢুকলাম আর দরজা লাগিয়ে দেখি ম্যাডাম থুক্কু বউ আমার ঘোমটা দিয়ে বসে আছে । বিছানা থেকে নেমে সালাম করলো আর আমি তাকে সব চেয়ে নিরাপদ স্থানে জায়গা দিলাম , মানে বুঝেন নাই আরে আমার বুকে টেনে নিলাম ।
ওকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় গেলাম …
তখন ও বললো …
ম্যাডামঃ সারা জীবন এমন প্রতিটা রাত আমায় কোলে তুলে বিছানায় নিয়ে যাবা ত…
আমিঃ হুম আমার জানপাখিকে সারা জীবন এমন করে ভালোবাসবো (কপালে একটা চুম্মু দিয়ে)
ম্যাডামঃ হুম আমার পিচ্ছি বর I LOVE U
আমিঃ I LOVE U 2 ম্যাডাম …
ম্যাডামঃ তুমি আবার ম্যাডাম বললা কেনো?
আমিঃ ধুর মুখ দিয়ে ভুলে বের হয়ে গেছে সরি বাবু এই যে কান ধরছি …
ম্যাডামঃ কান ধরতে হবেনা …
আমিঃ তাহলে কি ধরবো ।
ম্যাডামঃ কেনো এখন থেকে সারা জীবন আমায় ধরে রাখবা ।।
আমিঃ হুম ।। দাড়াও ১মিনিট (বলেই ল্যাপটপ টা ওপেন করলাম )
ম্যাডামঃ এই তুমি এখন এটা ওপেন করলে কেন?
আমিঃ আরে আমাদের বিয়ের খবর আমার পাঠকদের জানাতে হবেনা ।
ম্যাডামঃ কোন জাগার পাঠক?
আমিঃ আমার একটা ছোট গল্পের পেজ আছে সেখানে সবাই আমার গল্প পড়ে ।।
ম্যাডামঃ তা তোমার পেজের নাম কি ?
আমিঃ 👉আমার লেখা গল্প যত এই পেজ ।
ম্যাডামঃ তা 👉আমার লেখা গল্প যত এই পেজে আমাই এড করবানা ।
আমিঃ হুম করব ত আর এই পেজ ত এখন থেকে তোমার …
।।
কথাগুলো শেষে ল্যাপটপ টা রেখে দিলাম …
ম্যাডামঃ আজ কে আমার অনেক আনন্দ লাগতে আমাদের স্বপ্ন পুরন হয়েছে ।
আমিঃ আমারও খুব খুশি লাগছে ।
ম্যাডামঃ আমি তোমায় খুব ভালোবাসি জুনায়েদ আমাকে ছেড়ে প্লিজ চলে যেওনা ( কান্না করতেছে)
আমিঃ এই পাগলি আজকে কান্না করছো কেনো আজকে ত আমাদের খুশির দিন ।
ম্যাডামঃ খুব ভয় তুমি যদি আমায় ছেড়ে যাও ।
আমিঃ ধুর আমি ত বললে চলে যেতে পারবোনা আর তুমি তোমার দেনমোহর যেনো কি চেয়েছিলে ।
ম্যাডামঃ তুমি যদি আমায় কোন দিন ডির্ভস দিয়ে দাও আমি দেনমোহর হিসাবে তোমাকে নিয়ে নিবো ।
আমিঃ তাহলে কেমনে চলে যাবো ।
ম্যাডামঃ তাও আমার ভয় হয় কারন তুমি আমার ৫ বছরের ছোট ।
আমিঃ আমি কি এইসব কথা বলি বলো ।
ম্যাডামঃ নাহ ।
আমিঃ তাহলে এই কথা বাদ দাও আর কান্না থামাও ।
ম্যাডামঃ হুম (২ হাত দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে)
আমিঃ ও বউ ।
ম্যাডামঃ কিইই?
আমিঃ আমাই একটু আদর করোনা ।
ম্যাডামঃ কিইই?দাড়াও তোমার মজা দেখাচ্ছি বলে... বিছানায় থেকে নেমে শাড়ির আচল কোমরে বেধে বলছে ...
ম্যাডামঃ এই বার আসো আদর করি ।
আমিঃ আমি যাইতে পারুমনা ।
ম্যাডামঃ কেন আদর খাবা না ।
আমিঃ না সখ মিটে গেছে ।
ম্যাডামঃ কেন?
আমিঃ এই যে তুমি কোমরে ২ হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছো আমার খুব ভালো লাগছে ।
ম্যাডামঃ ধুর তুমি আমায় একটু রাগ করে থাকতে দিবানা তোমার ঐ লুচ্চা মারকা হাসিই আমাই শেষ করেছে ...
আমিঃ কি আমি লুচ্চা তোমার সাথে কথা নাই যাও ( রাগের অভিনয়)।
ম্যাডামঃ ওলে আমার পিচ্ছি বর টা রাগ করেছে দেখি ।
আমিঃ হুম ।
ম্যাডামঃ কি হুম ?
আমিঃ আমি রাগ করেছি ।
ম্যাডামঃ ও তাই তাহলে কি করল্র রাগ ভাঙ্গবে ।
আমিঃ থাক বলব না বললেই ত লুচ্চা বলবা ।
ম্যাডামঃ ধুর আমি ত জানি তুমি কত ভালো ছেলে আর তাই তোমার হাতে আমাকে সপে দিয়েছি সারা জিবনের জন্য আর তুমি শুধু আমার সাথে লুচ্চামি করবা ।
আমিঃ আবার লুচ্চা বললা (সত্যি এবার কান্না করে দিছি )
ম্যাডামঃ ধুর কান্না করো কেন?
আমিঃ নিশ্চুপ...
ম্যাডামঃ কি হলো কথা বলো ।
আমিঃ নিশ্চুপ...।।
ম্যাডামঃ দাড়াও মজা দেখাচ্ছি কথা না বলার জন্য ...
ওর কথা বলাও সারা আর আমি মনে হয় কোন র্সগে হারিয়ে গেলাম আর বাকিটা ইতিহাস ...
আরে আপনেরা এখনো কি করতেছেন যানা যান আজকে আমাদের বাসর রাত। এখন আমি আর আমার ম্যাডাম থুক্কু ফারজানা থাকবো মানে আমি আর আমার বউ ......
............ সমাপ্ত ......
লেখক : জোছনা বিলাসী
Comments
Post a Comment